রাজকোষ চুরিতে অভিযুক্ত রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) জুপিটার শাখার বরখাস্তকৃত ম্যানেজার মায়া সান্তোস দেগুইতো ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের (ডিওজে) প্রথম প্রাথমিক অনুসন্ধানে হাজিরা দিয়েছেন। আজ ফিলিপাইনের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি আইনজীবী ফার্দিনান্দ টোপাসিওকে সঙ্গে নিয়ে সোজা চলে যান ম্যানিলায় অবস্থিত ডিওজের প্রধান কার্যালয়ে। সেখানে কারো সঙ্গে কোন কথা না বলে প্রবেশ করেন সহকারী প্রসিকিউটর গিলমারি ফে পাকামারার অফিসে। সেখানে রুদ্ধদ্বার প্রাথমিক শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এ খবর দিয়েছে ফিলিপাইনের অনলাইন জিএমএ নিউজ। এতে বলা হয়, পাল্টা এফিডেভিট জমা দিতে দেগুইতোকে পাকামারা আগামী ৩রা মে সময় বেধে দিয়েছেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন দেগুইতোর আইনজীবি টোপাসিও। তিনি বলেছেন, এন্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল (এএমএলসি) তার মক্কেল দেগুইতোর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের যে মামলা করেওেছ সে বিষয়ে জবাব দেয়ার জন্য তারা প্রসিকিউটরের কাছে আরও সময় প্রার্থনা করবেন। উল্লেখ্য, গত বছর ১৫ই মে আরসিবিসির জুপিটার শাখায় চারটি ব্যাংক একাউন্ট খুলে বাংলাদেশের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পাচার করা হয়। চীনা বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী কিম ওংয়ের অনুরোধে ওই ব্যাংক একাউন্ট দেগুইতো খুলেছিলেন বলে মনে করা হয়। তবে কিম ওং এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে চুরি করা অর্থের সুবিধা নিয়েছিলেন কিম ওং। তিনি সে কথা স্বীকারও করেছেন এবং এরই মধ্যে ফেরত দিয়েছেন কিছু টাকা। ওদিকে আরসিবিসির প্রেসিডেন্ট লরেঞ্জো তান সোমবার মামলা করেছেন মায়া সান্তোস দেগুইতোর বিরুদ্ধে। দেগুইতো অর্থ পাচারের এ ঘটনায় লরেঞ্জো তানকে মূল হোতা বলে বক্তব্য দিয়েছেন। এ কারণেই তার বিরুদ্ধে এ মামলা করেছেন তান।