সিলেটের পুলিশের ওপর ক্ষেপেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। নগরীর কুয়ারপাড়ে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতারা। এ কারণে তারা রোববার সিলেটের কোতোয়ালি থানার ওসি সোহেল আহমদকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের আলটিমেটাম দিয়েছিল। নগরীতে করেছিল বিক্ষোভও। কিন্তু আলটিমেটামেও কাজ না হওয়ায় গতকাল দুপুরে সিলেটের আদালতে ওসি তিন ৩ পুলিশ কর্মকর্তার নামোল্লেখ করে মামলা করেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনজুরুল ইসলাম মজনু। আর এই আলটিমেটাম ও মামলার ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে সিলেটের পুলিশের মধ্যে। শনিবার রাতে সিলেটের কুয়ারপাড়ে আধিপত্য বিস্তার করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রদলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। সংঘর্ষকালে কুয়ারপাড় এলাকায় উভয় দলের নেতারা ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। কয়েকটি দোকানেও তাণ্ডব চালানো ছাড়াও ক্যাশ লুট করা হয়েছে। এই ঘটনার পর ওসি’র বিরুদ্ধে ক্ষেপেছে সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এদিকে, গতকাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনজুরুল ইসলাম মজনু সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি সুহেল আহমদ, থানার সেকন্ড অফিসার ফয়েজ আহমদ ও লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আবদুল কাদিরের নামোল্লেখসহ আরও ৫-৭ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। দুপুরে সিলেট মহানগর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন তিনি। মামলা নং- সিআর-৪৩৬/১৬। মামলার বাদী মনজুরুল ইসলাম মজনু নগরীর রায়নগর রাজবাড়ী বসুন্ধরা-৪৭ নং বাসার আবদুল ওয়াহিদের ছেলে। মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছেন, তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। গত শনিবার তিনি রাজনৈতিক সভার জন্য যান সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসার আজিজের বাসায় যান। সভা শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী স্বপন দেব, জুনেদ, জাহেদুল, সাজ্জাদসহ নগরীর লালাদিঘীর পূর্বপাড়ে পৌঁছামাত্র কোতোয়ালি থানার ওসি সুহেলের নির্দেশে মামলার অন্য আসামিরা তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় ওসি সুহেল স্বেচ্ছাসেবক লীগ কমী স্বপন দেবকে ধরে ফেলেন। স্বপন দেব নিজেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী পরিচয় দিয়ে বাসায় যেতে চাইলে ওসি এক লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে স্বপন দেবের মাথায় হাতে থাকা লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশে বাড়ি দেন ওসি সুহেল। এ সময় রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন স্বপন। পরে ওসি’র সাথে থাকা সেকন্ড অফিসার ফয়েজ ও এসআই আবদুল কাদির লাঠি দিয়ে স্বপনকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন। বাদি মনজুরুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন, এ সময় সঙ্গে থাকা অন্যদের নিয়ে তিনি অনুনয় জানালে আসামিরা তাদেরকেও লাঠিপেটা করেন। কোতোয়ালি থানার ওসি সুহেল ও মামলার অন্যান্য আসামিদের সাথে সিলেটের বিভিন্ন অপরাধী ও জঙ্গি গোষ্ঠীর কানেকশন রয়েছে বলেও বাদী মনজুরুল ইসলাম অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।