যশোর প্রতিনিধি রুবেল, স্বদেশ নিউজ২৪, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : জেলা সদরের লাউখালী গ্রামের শ্মশান থেকে গতকাল বুধবার সকালে দুই ছাত্রশিবির নেতার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই দুই কলেজছাত্র গত ১৮ ও ২৪ মার্চ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। পুলিশ পরিচয়ে এ দুজনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তাদের পরিবার দাবি করেছে। অভিযোগের বিষয়েই পুলিশ নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে। পুলিশের দাবি, তারা গত এক মাসে কালীগঞ্জ পৌর এলাকায় কোনো অভিযান চালায়নি। নিহতরা ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। নিহতরা হলেন- ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার চাপালী গ্রামের ইসলাম আলীর ছেলে আবুজার গিফারী (২২) ও বাকুলিয়া গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে শামীম হোসেন (২০)। লাউখালী এলাকাবাসী লাশ দুটি দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। যশোর হাসপাতাল মর্গের সামনে আবুজার গিফারীর ফুপা আক্কাস আলী বলেন, গিফারীকে গত ১৮ মার্চ বাড়ি থেকে পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে নিয়ে যায়। এর পর থানায় খোঁজ করা হলেও তার সন্ধান মেলেনি। গিফারী ছাত্রশিবিরের কালীগঞ্জ পৌর শাখার সভাপতি ছিলেন। শামীমের মামা ইমরান হোসেন বলেন, ২৪ মার্চ বিকেলে শামীম কালীগঞ্জের মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের সামনের একটি দোকানে পত্রিকা পড়ছিল। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে হেলমেট পরা ৪ জন এসে শামীমকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আশপাশের লোক ধাওয়া দিলে পিস্তল বের করে তারা নিজেদের পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেয়।