রংপুর: রংপুরের তারাগঞ্জে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অর্ধশত যাত্রী। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিহতদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। এদের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় জানা গেছে। এরা হলেন- নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার মধুপুরের মতিন মিয়া (৩৫), পুঠিমারীর কাচারিপাড়ার লিটন মিয়া (২৬), পাসারীপাড়ার মোসাদ্দেক আলী (৪৫), বড় বাইতার মিজানুর রহমান (৩৫), ডোমারের একাব্বর আলী (৬৫), দিনাজপুর জেলার চিরির বন্দর উপজেলার চন্দন রায় (৩৫), মোহাম্মদ আলী (৪৫), মধ্যপাড়ার দেবীগঞ্জের খবিরুল ইসলাম (৩০), রংপুরের গঙ্গাচড়ার আবুল হোসেন (২৫) ও মাহবুবুর রহমান (২৬)।
রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল, পুলিশসহ বিভিন্ন সূত্র বুধবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে ১৩ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে।
এর আগে, সকাল ১১টার দিকে রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। তৎক্ষণাৎ আহতদের উদ্ধার করে রমেক হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দিনাজপুরগামী সায়মুন পরিবহন ও দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা রংপুরগামী তৃপ্তি বাসের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার পর ওই মহাসড়কে তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
খবর পেয়ে রংপুর জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শ করেন। এসময় তার সঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার জানান, দুর্ঘটনায় যারা মারা গেছেন, তাদের দাফনের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৯ হাজার টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে।