নানা বিতর্ক, সমালোচনা ও বিক্ষোভের মধ্যেই গ্রিসের পার্লামেন্টে কর ও অবসরভাতা সংক্রান্ত নতুন বিল পাস হয়েছে। বিল পাসের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ করেছে দেশটির কয়েক হাজার মানুষ। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আবারো ক্ষোভে উত্তাল গ্রিসের রাজধানী এথেন্স। রোববার দেশটির পার্লামেন্টে কর ব্যবস্থার পুনর্বিন্যাস ও কর্মচারীদের পেনশন সংক্রান্ত বিতর্কিত বিল পাস হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ করে প্রায় ১৫ হাজার নাগরিক। চলমান বিক্ষোভের মুখে বিলটি পাস হওয়ার পর পুলিশকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোড়ে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।
এরই মধ্যে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে চলা অর্থনৈতিক সংকট নিরসনের লক্ষ্যে ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে পার্লামেন্টে কর ও অবসরভাতা সংক্রান্ত বিলটি পাস হয়। রোববার ৩শ’ আসন বিশিষ্ট পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন বামপন্থি দলের ১শ’ ৫৩ জন আইন প্রণেতা বিলটির সমর্থনে ভোট দেয়।
নতুন এই আইনের ফলে দেশটির আয়কর বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি, সরকারি চাকরিজীবীদের অবসরকালীন সর্বোচ্চ ভাতা কমিয়ে আনা হবে। এর মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে ধসে পড়া দেশটি আবার ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
গ্রিস প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে গ্রিসের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পুনরুদ্ধার করা হবে। টেকসই অর্থনীতির জন্য সামাজিক ন্যায্যতার মূলনীতি হিসেবে বিলটির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য পেনশনভোগীদের কাছ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ অর্থ কেটে নেয়া হবে।’
ব্যয় সঙ্কোচন নীতি বাস্তবায়ন করা হলে গ্রিস ইউরোজোন থেকে আর্থিক সহায়তা পেতে পারে। এর প্রেক্ষিতে চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কট সমাধানে আন্তর্জাতিক দাতা গোষ্ঠীর কাছে নতুন করে প্রায় ৫ কোটি ইউরো আর্থিক সহায়তা চেয়েছে গ্রিস।