সোনু মোহাম্মদ দশম শ্রেণীর ছাত্র। শিলাম কুমারী নবম শ্রেণীর। তারা একে অন্যের প্রেমে ছিল মশগুল। একজনকে ছাড়া আরেকজন নিজেকে কল্পনাও করতে পারতো না। কিন্তু তাদের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ায় দু’জনের পরিবার। এর কারণ সোনু মোহাম্মদ মুসলিম। শিলাম হিন্দু। এ কারণে তারা ভয়াবহ এক সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্ত মতোই একটি কক্ষের ভিতরে দু’জনে প্রবেশ করে ভিতর থেকে দরজা আটকে দেয়। তারপর দু’জন দু’জনকে জড়িয়ে ধরে শক্ত করে। সেই অবস্থায় গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে সোনু ও শিলামের। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের আগ্রায়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। শনিবারের এ ঘটনা নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। বলা হয়েছে, আগ্রার কোতোয়ালি সদর এলাকার নাইনানা জাত এলাকার এ ঘটনায় এলাকার মানুষ শোকে স্তব্ধ। যেহেতু দু’জন দু’ সম্প্রদায়ের তাই এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে- এমন আতঙ্কে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। প্রতিবেশীরা বলেছেন, সোনু ও শিলাম একই স্কুলে পড়াশোনা করতো। তারা একে অন্যকে পছন্দ করতো। কিন্তু তাদের পরিবার এ সম্পর্ক মেনে নেয় নি। ৯ই মে ইতমাদপুরের কুবেরপুরে এক ব্যক্তির সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেয়া হয় শিলামকে। শিলামের ছোটভাই সৌরভ বলেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কুবেরপুর থেকে ফিরে আসে দিদি। এ সময় তাকে হাসিখুশি দেখাচ্ছিল। কিন্তু ভোর রাত সাড়ে চারটার দিকে সোনুর কক্ষে তাকে সোনু সহ তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সোনুর ছোটভাই আলী মোহাম্মদ বলেছে, ভোর চারটার দিকে আমি সোনুর ঘর থেকে অগ্নিশিখা বেরি আসতে দেখতে পাই। দৌড়ে যাই সেখানে। দেখি ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে তাদের মৃতদেহ। তখনও পুরো ঘর জ্বলছিল। এর এক ঘন্টা পর পুলিশ উপস্থিগ হয়ে ঘরের দেয়াল ভাঙে। পুলিশ কর্মকর্তা ধর্মেন্দর চৌহান বলেন, প্রথমত এটাকে একটি আত্মহত্যা হিসেবে মনে হচ্ছে। কোন পরিবারই এ বিষয়ে মামলা করে নি। তাই পুলিশ লাশের ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।