এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা তিন ফুটবলারের তালিকায় মেসি, নেইমার, রোনালদোকে হটিয়ে জায়গা হবে না সুয়ারেজের। তবে তাদের হটিয়ে লা-লিগায় ঠিকই রাজা বনে গেলেন লুইস সুয়ারেজ। লিওনেল মেসি-ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ৬ বছরের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে লা লিগার সেরা গোলদাতার পুরস্কার ‘পিচিচি ট্রফি’ জিতে নিলেন এই উরুগুয়ের তারকা।
২০০৯ সালের পর মেসি ও রোনালদোর বাইরে অন্য কেউ পুরস্কারটি জিতলেন। ২০০৯-১০ থেকে গত মৌসুম পর্যন্ত মোট তিনবার করে পুরস্কারটি জেতেন এই দুই তারকা। স্পেনের শীর্ষ লিগের এ মৌসুমে মোট ৪০ গোল করে পুরস্কারটি জিতলেন গ্রানাদার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে বার্সেলোনাকে শিরোপা এনে দেয়া সুয়ারেজ। এ মৌসুমে রোনালদোর গোল ৩৫টি। লা লিগার ইতিহাসে মেসি ও রোনালদো ছাড়া প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এক মৌসুমে ৪০ গোলের কীর্তি গড়লেন উরুগুয়ের এই তারকা স্ট্রাইকার। বার্সেলোনার জার্সিতে দ্বিতীয় মৌসুমেই অসাধারণ এই কীর্তি গড়া সুয়ারেজ দলের শিরোপা জয়েরও মূল নায়কও। পুরো মৌসুম জুড়েই প্রয়োজনীয় মুহূর্তে অবদান রাখেন তিনি। গত এপ্রিলে টানা তিন ম্যাচ হেওে কোণঠাসা হয়ে পড়া দলকে পথ দেখাতে সবচেয়ে বড় অবদান তার। শেষ পাঁচ ম্যাচে দলের ২৪ গোলের মধ্যে একাই ১৪টি করেন তিনি। দুর্দান্ত এই পথচলায় মোট ছয়টি হ্যাটট্রিক করেন সুয়ারেজ। এ মৌসুমে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচটি লিগে অন্য কেউ তিনটির বেশি করতে পারেননি। শুধু গোল করায় নয়, মৌসুম জুড়ে সতীর্থদের দিয়ে গোল করাতেও দারুণ পারদর্শী ছিলেন সুয়ারেজ, এ পর্যন্ত মোট ১৬টি গোল করিয়েছেন তিনি। লা-লিগায় সমান সংখ্যক গোল করিয়েছেন কেবল মেসি, দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬টি গোল করেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। মৌসুম জুড়ে এ গোলবন্যায় দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপিয়ান গোল্ডেন সু জেতাও নিশ্চিত করলেন সুয়ারেজ। সর্বাধিক গোলের তালিকায় সুয়ারেসের চেয়ে ৫টি কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন রোনালদো।