মাত্র নয় বছর বয়সে নিজেই পোশাক ও স্বর্ণালংকারের ব্যবসা শুরু করে মিলিয়নিয়ার ইসাবেলা বারেট। এখন তার বয়স নয় বছর। অর্থের কোন ঘাটতি না থাকায় সে এরই মধ্যে শুরু করেছে বিলাসী জীবন যাপন। নিজেই ঘুরছে তার প্রিয় সব শপিং মলে। টাটকা চিংড়ি রান্না দিয়ে রাতের খাবার খায়। সম মানের বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করে। পরে হাইহিল। মুখে ভারি মেকাপ। হাতে ঝুলানো দামী পার্স। এত বিলাসিতার মাঝেও সে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। চেষ্টা করছে একজন সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে। এরই মধ্যে প্রকাশ হয়েছে তার দুটি গান- ‘এলওএল’ এবং ‘আই অ্যাম জাস্ট এ কিড’। আমেরিকান টিভি শো টডলারস অ্যান্ড টায়রাস অনুষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিতির মাধ্যমে সে নিজেকে তুলে ধরেছে। ফ্যাশন দুরন্ত ইসাবেলার এখন অনলাইনে অনুসারীর সংখ্যা ১৬ লাখের বেশি। নিজেকে সে মনে করে একজন সফল ব্যবসায়ী মেয়ে হিসেবে। সে বলেছে, এত মানুষ আমাকে অনুসরণ করে এতে আনন্দ পাই। তারা আমাকে ভালবাসে। তারা বলে, আমি ঠা-া মাথার মানুষ। সুন্দরী। আসলে বিখ্যাত হওয়ার চেয়ে ভাল আর কিছু নেই। ইসাবেলা এখন প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রী। দুটি ফ্যাশন কোম্পানি গ্লিটজি গার্ল এবং বাউন্ড বাই দ্য ক্রাউন কোর্টার-এ রয়েছে তার বড় ধরণের শেয়ার। আমেরিকার রোড আইল্যান্ডের মেয়ে সে। বলেছে, আমার পোশাক ব্যবহা অত্যন্ত সফল। তার মা সুসানা স্বীকার করেছেন, তারা আরও বেশি অর্থের মালিক হতে চান। তার মেয়ের বয়স এখন মাত্র নয় বছর। তার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থের পরিমাণও বাড়বে। সেই অর্থ তারা বিনিয়োগ করার কথা ভাবছেন। এ অর্থ তারা ভোগ করবেন না। এর মালিক থাকবে তাদের মেয়ে ইসাবেলা। এখনই ইসাবেলার কাছে মূল্যবান সংগ্রহে রয়েছে ৬০ জোড়া জুতা। ১৪টি ট্রাকস্যুট। এসবই সে কিনেছে এক দিনে। গ্লামারে ভরা জীবন যাপন করলেও ইসাবেলা স্বীকার করেছে এই বয়সেই উদ্যোক্তা হওয়া ত্যাগ ছাড়া সম্ভব হয় নি। সে বলেছে, আমার জীবন প্রচন্ড ব্যস্ত। মাঝে মাসেই আমাকে জিমন্যাস্টিক মিস করতে হয়। কারণ, আমাকে কাজেহ যেতে হয়। অডিশন দিতে হয়।