কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তে গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রধানকে হুমকী দিয়ে উড়ো চিঠি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কমিটির সভাপতি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামদা প্রসাদ সাহা দাবি করেন, ‘আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁর বিভাগের দপ্তরে ডাকযোগে উড়ো চিঠিটি আসে। চিঠিতে প্রাপক হিসেবে তাঁর নাম লেখা রয়েছে। প্রেরকের স্থলে কারও নাম নেই। কামদা প্রসাদ সাহার ভাষ্য, তনু হত্যা মামলার উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, তিনি সহজ-সরল একটি বিষয়টিকে ঘোলা করছেন। তিনি কি চান যে তাঁর পরিবার ধ্বংস হয়ে যাক? কামদা প্রসাদ সাহা চিঠি পাওয়ার পর কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি জিডির আবেদন করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা জীবনহানির আশঙ্কায় ভুগছেন। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রব গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। জিডির আবেদন পাওয়ার পর বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন। উল্লেখ্য, তনু হত্যার ঘটনার তদন্তের শুরুতেই ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এতে তনুর মাথার পেছনের জখমের কথা গোপন করা হয়। পরে তনুর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয় করতে পুলিশ কবর থেকে লাশ তুলে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করে। আদালতের নির্দেশে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে গত ৩০ মার্চ তনুর লাশের দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত হয়। তার প্রধান ছিলেন কামদা প্রসাদ সাহা। দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনও দাখিল করা হয়নি।