এবারের ফ্রেঞ্চ ওপেনের আগে মোট ১১ গ্রান্ড সøাম শিরোপা জেতেন নোভাক জকোভিচ। কিন্তু এরমধ্যে একটাও ফ্রেঞ্চ ওপেনের ছিল না। ক্লে কোর্টের এ শিরোপা ছিল তার অধরা। তিনবার ফাইনালে উঠলেও প্রতিবার তাকে হতাশ হতে হয়। ২০১২ ও ২০১৪ সালে ক্লে কোর্টের রাজা রাফায়েল নাদালের কাছে ধরা খান। আর গত বছর ফাইনালে তাকে হতাশ করেন স্টানিসলাস ভাভরিঙ্কা। এই কোর্টে প্রথম শিরোপার লক্ষ্যে এবারও ফাইনালে ওঠেন তিনি। প্রতিপক্ষ ব্রিটিশ তারকা অ্যান্ডি মারে। যিনি আছেন ফর্মের তুঙ্গে। আগের তিনবার ফাইনালে হারায় এবারের ফাইনালে কোর্টে নামার আগেও নার্ভাস ছিলেন জকোভিচ। প্রথম গেমে ৩-৬ গেমে হেরে গিয়ে কিছুটা পিছিয়ে পাড়েন। কিন্তু এরপর শক্ত স্নায়ু দেখান টেনিসের এক নম্বর তারকা জকোভিচ। দুর্দান্ত ঘুরে দাঁড়িয়ে মারেকে হারান ৩-৬, ৬-১, ৬-২, ৬-৪ গেমে। এতে এবার সেই অধরা শিরোপা ধরে ফেলেন জকোর। একই সঙ্গে পূরণ করেন ক্যারিয়ার সøাম। এই নিয়ে তিনি টানা চার গ্রান্ড সøাম শিরোপা জিতলেন। গত বছর উইম্বলডন ও ইউএস ওপেনের শিরোপা জয়ের পর এ বছর অস্ট্রেলিয়ান ও ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপা জিতলেন। এতে অষ্টম পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ার সøাম জিতলেন জকোভিচ। আগের সাতজন- ফ্রেড পেরি, ডন বাজ, রড লেভার, রয় এমারসন, আন্দ্রে আগাসি, রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদাল। নোভাক জকোভিচ গত বছর ক্যালেন্ডার সøাম অর্থাৎ বছরের চারও গ্রান্ড সøাম শিরোপা জয়ের সামনে ছিলেন। ফ্রেঞ্চ ওপেন ছাড়া বাকি তিন শিরোপা জেতেন তিনি। এবারও একই পথে রয়েছেন সার্বিয়ার এ টেনিস তারকা। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনের পর জিতলেন ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপা। সামনে উইম্বলডন ও ইউএস ওপেন জিতলে বিরল ক্যালেন্ডার সøাম পূর্ণ করবেন তিনি। ফ্রেঞ্চ ওপেনে নিজের প্রথম শিরোপা জিতে জকোভিচ বলেন, ‘এটা আমার জীবনের বিশেষ মুহূর্ত। আমার টেনিস জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। ১০ দিন বৃষ্টির পর আজই সূর্য ওঠে। অনেক সমর্থক খেলা দেখেতে এসেছে দেখে ভাল লাগছে। আমার মধ্যে আজ এমন এক অনুভূতি কাজ করছে যা আগে কখনও রোলাঁ গ্যারোয় কাজ করেনি। মানুষের ভালবাসা অনুভব করছি। কোর্টে নেমে মানুষের মন জিতে নিয়েছি।’