ইয়েমেনে শিশু হত্যার দায়ে সৌদি আরবকে জাতিসংঘ কালো তালিকাভুক্ত করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ। এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনকে ফোন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। সৌদি আরবকে ওই তালিকা থেকে বাদ দিতে সৌদি আরব ও আটটি দেশ জাতিসংঘের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এরই প্রেক্ষিতে সৌদি আরবকে ওই তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। এসব তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের নিয়মিত বিফ্রিংয়ে। ১০ই জুন ওই ব্রিফিং করেন মহাসচিব বান কি মুনের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক। তার কাছে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন রাখেনÑ জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে। আপনি তারপর বলেছেন, অন্যরা পদক্ষেপ নিয়েছে। আমি আপনার কাছ থেকে এ বিষয়ে বাড়তি আরও কিছু জানতে চাই। জবাবে মুখপাত্র বলেন, আপনার প্রশ্নের শেষ অংশের জবাবে বলছি, আমি আপনাকে মহাসচিবের বক্তব্যের অংশটুকুর কথা মনে করিয়ে দেব। আমি জানি একটি ফোনকল এসেছিল। মহাসচিবকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোন করে সৌদি আরবকে কালো তালিকাভুক্ত করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ সময় একজন প্রতিনিধি জানতে চানÑ জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেছেন। তারপর থেমে গেছেন। জবাবে মুখপাত্র বলেন, জাতিসংঘের বিবৃতি সম্পর্কে আমি জানি না। আমি মনে করি যখন একজন সাংবাদিক বা অন্য কোন মানুষ বাংলাদেশের রাস্তায় খুন হন সে বিষয়ে অব্যাহতভাবে কথা বলে যাচ্ছেন মহাসচিব এবং তিনি ভবিষ্যতে কথা বলবেন।