ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে রাশিয়া ও ইংল্যান্ডের দর্শকদের মধ্যের তা-ব থামছেই না। এই নিয়ে টানা তিনদিন ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হলো। এখনও মাঝেমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তা-ব থামাতে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এমন কি, আগামী আসরে রাশিয়া ও ইংল্যান্ডকে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা দেয়ার হুমকি দিয়েছে ইউরোপের ফুটবল নিংন্ত্রণ সংস্থা (ইউয়েফা)। স্বাগতিক ফ্রান্সের পশাপাশি দুই দশের সরকারের পক্ষ থেকেও দর্শকদের ঠা-া থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। রাশিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচে ইংল্যান্ডের সমর্থকদের ওপর রাশিয়ার সমর্থকদের আতর্কিত হামলা ছিল খুব অবাক করা। দুই দেশের ফুটবল সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নতুন এক সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ফ্রান্স সরকার। সরকার মনে করছে. অতিরিক্ত অ্যালকোহল বা মাদক গ্রহণের ফলে দুই দেশের সমর্থকরা এমন তা-বে জড়িয়ে পড়ছে। এজন্য স্টেডিয়াম এবং এর আশপাশে এলাকায় অ্যালকোহল বা মাদক ব্যবহার ও বিক্রি নিষিদ্ধ এবং বার বন্ধ রাখার আদেশ দিয়েছে ফ্রান্স সরকার। তবে সব শহরে এখনও এই আদেশ কার্যকর হয়নি। আগামী বুধবার লিল শহরের স্টেডিয়ামে সেøাভাকিয়ার মুখোমুখি হবে রাশিয়া। এই শহর থেকে ২৪ মাইল দূরে লেনস শহরে পরেরদিন ওয়েলসের বিপক্ষে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড। এই দুই ম্যাচ সামনে রেখে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে ফ্রান্সের পুলিশ। এমন কি ইংল্যান্ড সরকার আরও পুলিশ পাঠানোর অনুমতি চেয়েছে ফ্রান্স সরকারের কাছে। টিকিট ছাড়া ওই দুই স্টেডিয়ামের আশপাশে কাউকে না যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মাদক নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ফ্রান্সের আভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী বার্নার্ড চাজেনুভে বলেন, ‘আগেরদিন এবং ম্যাচের দিন স্টেডিয়াম এলাকায় অ্যালকোহল বিক্রি, ব্যবহার ও বহন নিষিদ্ধ করার যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ব্যাপারে প্রতিটি শহরে আদেশ পাঠানো হয়েছে। অ্যালকোহলের কারণে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে এমন সংঘর্ষ হচ্ছে।’ মার্সেই’তে রাশিয়া-ইংল্যান্ডের সমর্থকদের মধ্যের তাল্ডব নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। কর্তৃপক্ষ, সমাজ ও ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এটা লজ্জাকর।’