পুলিশের পক্ষ থেকে ছয়জনের পরিবার ও ঠিকানা শনাক্ত করা হলেও তাদের কেউই মরদেহ নিতে আসেননি। তাদের মরদেহগুলো এখনো সিএমএইচেই রয়েছে।
এ বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম শাম্মী গণমাধ্যমকে বলেন, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মরদেহগুলো নিতে আসেনি। মরদেহগুলো আপাতত এখানেই রয়েছে। তবে কতদিন এগুলো এভাবে অথবা তারা মরদেহ না নিলে কি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, বিষয়গুলো সরকারের উপর নির্ভর করে।
সাধারণত হাসপাতাল থেকে মরদেহ বুঝে নিতে স্থানীয় পুলিশের কাছে যেতে হয়। তারাই মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। তবে গুলশান থানায় ফোন করে জানা গেল এ পর্যন্ত কোনো জঙ্গির পরিবার তাদের কাছে মরদেহ নিতে যোগাযোগ করেনি।
মরদেহ না নিলে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে পারে? এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের গুলশান বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, একজনের পরিবারের সঙ্গে পুলিশ স্বেচ্ছায় যোগাযোগ করলে তিনি মরদেহ নিতে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন। তবে মরদেহগুলো অনন্তকাল মর্গে রাখা সম্ভব নয়। কেউ আগ্রহী না হলে সে ক্ষেত্রে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হতে পারে।