জঙ্গিবাদ নির্মূলে জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোটগত সম্পর্কের ইতি টানার আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
পরিস্থিতি বিবেচনায় নিজ থেকে সরে না গেলে ধর্মভিত্তিক এই দলটিকে ২০ দলীয় জোট থেকে বের করে দেয়ার সিদ্ধান্ত এখন অনেকটাই চূড়ান্ত।
আলাপচারিতায় এমনটাই জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠজন অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ। জোট ও দলের দায়িত্বশীল নেতারাও দিচ্ছেন একই ইঙ্গিত। তারা বলছেন, জামায়াত বিষয়ে বৃহত্তর গোষ্ঠির আপত্তি আমলে নিয়েছেন তারা।
২০০১ সালের নির্বাচনের আগে স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে চার দলীয় জোট গঠন করে বিএনপি। এরপর থেকেই এ নিয়ে সমালোচনায় জর্জরিত হচ্ছে দলটি।
বিভিন্ন সময়ে জামায়াতকে ছাড়ার বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে চাপ এলেও তা বরাবরই এড়িয়ে গেছে বিএনপি।
সম্প্রতি গুলশানে জঙ্গি হামলার পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্য গড়ার ডাক দিলে আবারো সামনে আসে জামায়াত প্রসঙ্গ। এই ইস্যুতেই শুরুতেই হোঁচট খায় ঐক্য পরিকল্পনা।
দলীয় ফোরাম ও জোটের বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় গুরুত্বসহকারে। বৈঠক করে বেগম জিয়াকে জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগের তাগিদ দেন বিশিষ্টজনদের কেউ কেউ।
দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এই নেতা বলছেন, জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় যথার্থ সিদ্ধান্তই নেবে দল।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ বলেন, ‘অনেক রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব অতিতে বলেছেন এখনো আমাদের বলছেন একটি রাজনৈতিক দলকে যদি আপনারা বাদ দেন তবে আমরা আপনাদের সঙ্গে এসে দাঁড়াবো। যেহেতু দাবি উঠেছে সিদ্ধান্ত তো আমাদেরই নিতে হবে।’
অপরদিকে বিষয়টি নিয়ে সজাগ ২০ দলীয় জোটের শরীক অন্য দলগুলোর নেতারাও। জামায়াতকে নিষিদ্ধ না করায় সরকারের সমালোচনাও করেন এই নেতা।
জামায়াতের থাকা না থাকা নিয়ে বিএনপি’র বর্তমান অবস্থান পরিস্কার করলেন বেগম জিয়ার ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘একটি দলের জন্য ঐক্য প্রতিষ্ঠা হবে না, এটি হতে পারে না। জামায়াতের উচিত নিজ থেকে সরে যাওয়া। না হলে তাদেরকে সরিয়ে দেয়া হবে।’