বগুড়ায় জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্তত ২৩ তরুণকে খুঁজছে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এদের মধ্যে অনেকেই ৬ মাসের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ থাকলেও তাদের অবস্থান জানে না পরিবারের সদস্যরা।
নিখোঁজদের মধ্যে দু’একজন জেএমবি’র পুরনো সদস্য হলেও বাকীরা হঠাৎ করেই উধাও হয় বলে জানিয়েছে তাদের পরিবার।
রাজধানীর গুলশানে যেদিন জঙ্গি হামলা হয়, ঠিক তার আগের রাতে বগুড়ার শাহজাহানপুরের বাড়ি থেকে হঠাৎ উধাও হয় আব্দুল হাকিম। তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, জীবিকার তাগিদে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে হাকিম। তবে গুলশান হামলায় নিহত জঙ্গি খাইরুলের বোনের দাবি, হাকিমের মাধ্যমেই জঙ্গিবাদে জড়িয়েছে তার ভাই।
পাশেই বৃ-কুষ্টিয়া গ্রামের অশীতিপর এক বৃদ্ধ মোহাম্মদ হাজি’র ছেলে রাজিবুল বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় প্রায় ৬ মাস আগে। বাসায় স্ত্রী আর ছোট্ট দুই সন্তান রেখে গেলেও এরপর আর কোন যোগাযোগ করেনি সে। তার বৃদ্ধ বাবা জানান, মাস ছয়েক আগে পুলিশ তার ছেলের খোঁজ শুরুর পর থেকেই অজ্ঞাত স্থানে চলে যায় আজিবুল।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জঙ্গি তালিকায় নাম থাকা শাহজাহানপুরের এই দুই তরুণসহ একের পর এক এলাকা থেকে নিখোঁজের ঘটনা জানছে পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ছয়মাসে বগুড়া থেকে আটক করা হয়েছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ও জেএমবি’র ৪৫ সদস্যকে। এলাকা থেকে জঙ্গি আটক হওয়া ও তরুণদের নিরুদ্দেশের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে।
এদিকে বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলছেন, নিখোঁজদের হদিস বের করতে নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন তারা।