কার্যক্রম বন্ধে বিটিআরসি থেকে এখনো কোন নোটিশ পায়নি বেসরকারি মোবাইল কোম্পানি -সিটিসেল কর্তৃপক্ষ। তবে খুব দ্রুতই তাদের বকেয়া পুরো অর্থই পরিশোধ করা হবে। আর নতুন বিনিয়োগের বিষয়ে একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিটিসেল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে বিটিআরসি বলছে, বারবার অনুরোধ করার পরেও সিটিসেল কর্তৃপক্ষ সাড়া না দেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বিশ্বে সেলুলার বা মোবাইল ফোনের যাত্রা শুরু হয় ৭০ এর দশকে। আর বাণিজ্যিক তা চালু হয় ১৯৮৩ সাল থেকে। তবে বাংলাদেশে এই প্রযুক্তির পথ চলা সিটিসেলের হাত ধরে ১৯৮৯-এ। পরবর্তীতে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটক সহ আরও চারটি মোবাইল অপারেটরকে বাংলাদেশে মোবাইল সেবার লাইসেন্স প্রদান করা হয়।
শুরুতে গ্রাহকদের কাছে জনপ্রিয় হলেও সিডিএমএ প্রযুক্তির কারণে ধীরে ধীরে গ্রাহক হারাতে থাকা দেশের প্রথম মোবাইল সেবা প্রদানকারী এই অপারেটরটির গ্রাহক প্রায় ৭ লাখ। নানা সমস্যায় গত ৩ বছরে বিটিআরসির বিভিন্ন ফি এবং রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট বাবদ কোম্পানিটির বকেয়া ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
এ অবস্থায় গত সপ্তাহে সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উল্লেখ করে গ্রাহকদের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চলতি মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত সময় দিয়ে নোটিশ দেয় বিটিআরসি।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘যে সমস্ত অপারেটরদের টাকা বাকি থাকে তাদের আমরা টাকা পরিশোধ করার জন্য অনুরোধ করি। বার বার অনুরোধ করার পর যখন সেটার সমাধান হয় না তখন আমাদেরকে একটা ব্যবস্থা নিতে হয়। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা সিটিসেল-এর বিরুদ্ধে একটা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি।’
তবে সিটিসেল বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে বিটিআরসি কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, এমনটা জানিয়েছে সিটিসেল সিইও মেহবুব চৌধুরী।
বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটির ৪৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ মালিকানা সিঙ্গাপুর ভিত্তিক সিংটেল এশিয়া প্যাসিফিক ইনভেস্টমেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠানের, ফার ইস্ট টেলিকম লিমিটেডের ১৭.৫১ শতাংশ এবং বিএনপির সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী এম মোরশেদ খান এর প্যাসিফিক মোটরস লিমিটেডের রয়েছে ৩৭. ৯৫ শতাংশ মালিকানা।