কটিয়াদী (কিশোরগ্ঞ্জ) থেকে সুবল চন্দ্র দাস ঃ কটিয়াদীতে চলতি রোপা আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সময় মতো বৃষ্টিপাত হওয়াতে চাষিরা জমিতে ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এ ব্যাপারে কথা হয় কটিয়াদী উপজেলা কৃষি অফিসের সহকারী কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ্ খানের সঙ্গে। তিনি জানান, চলতি রাপাআমন মৌসুমে কটিয়াদী উপজেলায় ৬৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড, ১০ হাজার একশত ৫০ হেক্টর জমিতে উফশী জাতের রোপা আমন, ১ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ধানসহ মোট ১১ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান রোপণ ল¶মাত্রা নির্ধারণ করে আমন ধান রোপণ শুর“করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ল¶মাত্রা পূরণের পাশাপাশি অত্র উপজেলায় আমনের ভালো ফলন আশা করা যাচ্ছে। আর তাছাড়া কৃষকদের পাশে থেকে ফসল উৎপাদনের যাবতীয় কারিগরি পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছেন ব্লক পর্যায়ে কমরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ। বানিয়াগ্রাম গ্রামের চাষি কালা মিয়া, আহাব উদ্দিন, ফরিদ মিয়া, ভুট্টো মিয়ার সঙ্গে মাঠে দেখা হলে তারা জানান, এ বছর বিআর-২৫, ব্রি ধান-৪৯, ব্রি ধান-৫২, ব্রিধান-৩২ জাতের আমন ধান রোপণ করছি ধানের চারা ভালো আছে। বাজারে সার-কীটনাশকের অভাব নেই, তাছাড়া কৃষি বিভাগ থেকে সময়ে সময়ে বিভিন্ন পরামর্শ পাচ্ছি। উক্ত বানিয়াগ্রাম ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সংকর কুমার সরকারের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, রোপা আমন ধানের এ মৌসুমকে সামনে রেখে চাষিদের সুষম সার ব্যবহার, ল্যাগ, পার্চিং, গুটি ইউরিয়া ব্যবহার, এলসিসি ব্যবহার, সারিতে রোপণ পদ্ধতিসহ সব বিষয়ে সার্বিক পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছি যাতে চাষিরা ধান চাষে লাভবান হতে পারেন
কটিয়াদীতে বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিং ঃ জনজীবন অতিষ্ঠ
কটিয়াদী (কিশোরগ্ঞ্জ) থেকে সুবল চন্দ্র দাস ঃ সরকারের বিদ্যুৎ উন্নয়নের নানামুখী সম্ভাবনার পরও কটিয়াদী উপজেলায় বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। শিশু থেকে বৃদ্ধ, স্কুল কলেজের শি¶ার্থী, ব্যবসায়িক, অফিস আদালতসহ সাধারণ মানুষ সবাই এখন অতিষ্ঠ এই বিদ্যুতের নৈরাজ্যময় দশা দেখে।উপজেলা পৌরসভাসহ ৯টি ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকার ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা যায়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গড়ে ৩ ঘণ্টাও ঠিকমতো বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না কোথাও। অব্যাহত লোডশেডিংয়ে ছাত্রছাত্রী সহ সর্বস্তরের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। চলমান স্নাতক পরী¶ার্থীরা জানায় ¶োভ ও হতাশার কথা।এবার ঈদুল ফিতর থেকে শুরু করে এই বর্ষা মৌসুমে এ জনশ্রুতির বাস্তবায়ন ঘটেছে। সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎহীনতায় জনদুর্ভোগ সরেজমিনে দেখতে কটিয়াদী পৌর সদরে গিয়ে দেখা যায় সাংবাদিক সবল চন্দ্র দাসের ঘরে তার স্কুল পড়ুয়া এস এসসি পরী¶ার্থী পিয়াংকা,প্রতিবেশী মজলু ,রুবেল পরী¶ার্থী লাদেন মিয়া কূপি বাতি জ্বালিয়ে কোনমতে মশার কামড় খেয়ে পড়া চালিয়ে যাচ্ছে। একই গ্রামের ডিগ্রী পরী¶ার্থী রবিন চন্দ্র দাস ¶োভ প্রকাশ করে বললো, সরকার বলছে অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্র হয়েছে,আবার বিদ্যুৎ কিনছেও তাহলে আমাদের কেন অসহ্য গরমে রাতে প্রতিদিনেই হারিকেন দিয়ে পড়তে হয়? ভোক্তভোগী গৃহিণী শারমিন আক্তার জানান,ঘনঘন লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজের কারণে বাসার টিভি, ফ্রিজ, পানির পাম্পসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ ও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কাকে বলবো কেউ যেন দেখার নেই।জানা গেছে, এখন পিক কিংবা অফ পিক নেই গোটা সময়েই লোডশেডিংয়ের চিত্র একই ধরনের। সন্ধ্যায় সবর্্েবচ্চ চাহিদার সময় বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ২ ঘণ্টা ও বিদ্যুৎ থাকে না।এ ব্যাপারে দায়িত্ব প্রাপ্ত কটিয়াদী জোনাল অফিসের জুনিয়র প্রকৌশলী জানান, পৌরসভাসহ ৯টি ইউনিয়নে একই সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ করলে সাড়ে ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়।