নাশকতা সৃষ্টির জন্য জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর এবং আনসার উল্লাহ বাংলা টিমকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছে বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
পাঁচ দিনের ব্যবধানে চট্টগ্রামে শিবিরের একটি মেস থেকে হিযবুত তাহরীর চার সদস্যকে আটকের পাশাপাশি এক শিবির নেতার বাসা থেকে আটক করা হয়েছে আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের অপর চার সদস্যকে। নিজেদের নিরাপদ রাখার জন্য এটাকে শিবিরের একটি কৌশল হিসেবেই দেখছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
পহেলা আগস্ট সকালে নগরীর পতেঙ্গার কাঠগড় এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে জঙ্গি সংগঠন আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের পাঁচ সদস্যকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। আটকের পর গোয়েন্দা কার্যালয়ে এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ নিশ্চিত হয় এদের মধ্যে একজন শিবিরের সাথী আলী আক্কাস।
মূলত তার তত্ত্বাবধানেই তার ভাড়া করা বাসায় নাশকতার পরিকল্পনা করছিলো আনসার উল্লাহ বাংলা টিম। তার আগে ২৫ জুলাই নগরীর মোমেনবাগ আবাসিক এলাকায় শিবিরের একটি মেস থেকে আটক করা হয় অপর জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর চার সদস্যকে।
গত জুলাই মাসে জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত সীতাকুণ্ড থেকে আনসার উল্লাহ বাংলা টিম এবং জেএমবি’র অন্তত ১৫ জনকে আটক করে পুলিশ।
২০১৩ থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত টানা নাশকতার ঘটনায় নিজেদের শক্তি ক্ষয় হওয়ায় শিবির ভিন্ন কৌশল নিয়েছে বলে মনে করছেন গ্রেফতারকৃত জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদে সম্পৃক্ত সিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) পরিতোষ ঘোষ।
শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি, চট্টগ্রামে বড় ধরণের নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জঙ্গি সদস্যরা এখানে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে । সম্প্রতি বৃহত্তর চট্টগ্রামে অভিযানে আটক হয়েছে জঙ্গি সংগঠনগুলোর অন্তত ২৫ সক্রিয় সদস্য।