গুণগত মান আর সাশ্রয়ী দামে পাওয়া গেলেও বিপণনের ক্ষেত্রে আমদানি করা প্রসাধনীর সঙ্গে কোনভাবেই পেরে উঠছেনা দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। বিক্রেতারা বলছেন, প্রচার প্রচারণার দিক থেকে পিছিয়ে থাকায় প্রসাধনীর বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারছেনা দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো।
তবে, মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে প্রসাধনী ব্যবহারকারীদের মধ্যে, এক্ষেত্রে কেউ বলছেন মান আর কারো মতে প্রসাধনীটি ত্বকের সঙ্গে সামঞ্জস্য কিনা, সেটি ই প্রধান বিষয়।
দেশের প্রসাধনী বাজারে কয়েক দশকে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের নাম। বাজারে প্রায় শতাধিক বিদেশী ব্র্যান্ডের পাশাপাশি প্রতিনিধিত্ব করছে বেশ কয়েকটি দেশীয় প্রতিষ্ঠানও। তবে বাজার পরিস্থিতি বলছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যবহারকারীদের কাছে দেশীয় প্রসাধনীর চেয়ে প্রাধান্য পায় বিদেশী ব্র্যান্ডগুলো।
আধুনিক কর্মব্যস্ত জীবনে ঘরে বসেই রূপচর্চা করতে নানা ধরণের প্রসাধনী কেনার প্রয়োজন হয় নারীদের। আর সেক্ষেত্রে তাদের নজর থাকে ভালো মানের পণ্যের দিকেই, তবে দেশি হোক কিংবা বিদেশী তা যেন ত্বকের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় খেয়াল থাকে সেদিকেও।
চাহিদা বাড়লেও, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বিপণনের দিক দিয়ে বেশ পিছিয়েই আছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো।
বিক্রেতারা বলছেন, বিদেশী চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত বিজ্ঞাপনের কারণে আমদানি করা প্রসাধনীর চাহিদা বেশি। পাশাপাশি নকল পণ্যের বিক্রি বন্ধে খুচরা পর্যায়ে বারকোড পদ্ধতি চালুরও আহ্বান তাদের।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে বর্তমানে ছেলে আর মেয়েদের মুখের ক্রিম পাওয়া যায় ৪০ থেকে ৫০ টি ব্রান্ডের, শ্যাম্পু রয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টি ব্র্যান্ডের। এছাড়া বডি স্প্রে, পারফিউম, ফেইসওয়াশসহ রূপ চর্চার নানা ধরণের সামগ্রীর অধিকাংশই বিদেশী ব্র্যান্ডের।