গুলশান হামলার সন্দেহভাজন মারজানের সঙ্গে দীর্ঘ ৭ মাস যোগাযোগ নেই তার স্বজনদের। নিজ বাড়ি পাবনার হেমায়েতপুরে গেলে তার স্বজনরা জানান, জঙ্গি হামলার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা থাকলে প্রচলিত আইনেই তার বিচার করা হোক। এদিকে, মারজানের বাবা নিজাম উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিসান রেস্তরাঁয় জঙ্গি হামলায় ১৭ জন বিদেশিসহ নিহত হয় ২০ জন। এরপর থেকেই ঘটনার সাথে জড়িত এবং পরিকল্পনাকারী সন্দেহে পুলিশের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আসতে থাকে একের পর এক নাম। যার সর্বশেষ সংযোজন মারজান ওরফে নুরুল ইসলাম।
মারজানের বাড়ি পাবনার সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের আফুরিয়া গ্রামে। স্বজনরা জানান, দীর্ঘ ৭ মাস ধরে সে নিখোঁজ। কোথায় আছে কি করছে কোন তথ্য নাই পরিবারের কাছে। তবে গুলশান হামলার ঘটনায় যদি সে জড়িত থাকে তারও বিচার চায় স্বজন ও এলাকাবাসী।
এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী জানান, মারজানের ব্যাপারে কেউ তথ্য গোপন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, তথ্য গোপনের ঘটনা যদি সত্য হয় তাহলে অবশ্যই বিভাগের চেয়ারম্যানসহ যারা এ কাজে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বজনরা জানায়, পাবনা কামিল মাদ্রাসা থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে দাখিল ও আলিম পাস করার পর ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে ভর্তি হয় মারজান।