সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান, স্বদেশ নিউজ২৪.কম:
বর্তমান যুগ আধুনিক যুগ। আর যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে সবাই। মডেলই হোন আর অভিনয়শিল্পীই হোন, অথবা বিখ্যাত কেউই হোন, পোশাক কিংবা অলঙ্কার নির্ভর করে ফ্যাশন ডিজাইনারের হাতের ছোঁয়ার ওপর। আবার কোন অনুষ্ঠানে কেমন পোশাক পড়তে হবে, তার সঙ্গে কোন জুতা লাগবে অথবা সেই পোশাকটির সাথে অন্যান্য অ্যাকসেসরিজই বা কী হবে, তা ঠিক করে দিতে পারেন ফ্যাশন ডিজাইনার। সময়ের সাথে সাথে তাই ফ্যাশন ডিজাইনার পরিণত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ হিসেবে।
আধুনিকতার এ যুগে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে গেছে অনেক কিছু এবং মানুষের কর্মক্ষেত্রে আসছে পরিবর্তন। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন উন্নয়নমুখী সৃষ্টিশীল পেশা। ঠিক তেমনি একটি যুগোপযোগী পেশা ফ্যাশন ডিজাইন। এই বৈচিত্র্যের পূর্ণতা এনে দিয়েছে ফ্যাশন ডিজাইনিং। তারই ধারাবাহিকতায় দিন দিন বেড়ে চলছে ফ্যাশন ডিজাইনিং এর চাহিদা। অনেক দেশে অনেক সৃজনশীল ফ্যাশন ডিজাইনারদের সৃষ্টি হয়েছে। তারা তাদের সৃজনশীলতা দিয়ে তাদের মেধার বিকাশ ঘটাচ্ছেন। সাথে সাথে এই ডিজিটাল যুগের নতুন সৃষ্টি অনলাইন ফ্যাশন হাইজ।
এখন অনলাইন ফ্যাশন হাউজের চাহিদাও অনেক। ঘরে বসেই নিজের পছন্দের পোষাক ও অলংকার গুলো হাতের নাগালে পাওয়া। অনলাইন ফ্যাশন হাউজের মধ্যে অনন্য নাম আফি’স সফিষ্টিকেশন। যেটির উদ্যোক্তা এক তরুণী। পড়াশুনার পাশাপাশি নিজের স্বপ্ন ফ্যাশন ডিজাইনিং ও অনলাইন ফ্যাশন হাউজ। ২০১৫ সালের ৭জুন হঠাৎ করেই নিজের কিছু ডিজাইন করা ড্রেস দিয়ে পেজ ওপেন করেন আফিয়া তাহসিনা আফি। আর সেদিন থেকেই সৃষ্টি হয় আফি’স সফিষ্টিকেশন। ভালোই সাড়া পান সেই পেজ থেকে। কিন্ত পরিবারের কারো সাপোর্ট ছিলনা। সবাই বলেছিল পড়াশুনা করে ভাল জব করবে। আফি’স সফিষ্টিকেশন এর সিইও আফিয়া থেমে থাকেননি আস্তে আস্তে তার অনলাইনে কার্যক্রম চালাতে থাকে। ৩০০০ টাকার পুঁজি নিয়ে শুরু হয় তার মিশন। এরপর আর তাকে পিছনে তাকাতে হয়নি দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে তার আফি’স সফিষ্টিকেশন। আফিয়া তাহসিনা আফ ‘র ভবিষ্যত পরিকল্পনা হলো আফি’স সফিষ্টিকেশনকে একটি ব্র্যান্ডে রূপান্তরিত করা। বর্তমানে আফি’স সফিষ্টিকেশনের কর্ণধার আফিয়া ইউল্যাব এ এমবি তে পড়ছেন। এমবি এ শেষে ২০১৭ এর শেষে আউটলেট দেয়ার ইচ্ছা আছে।
স্বদেশ নিউজ২৪কে আফিয়া জানান- এই পেশা ও অনলাইন ফ্যাশন হাউজের মাধ্যমে মেয়েরা নিজেদের আত্মকর্মসংস্থান এর সুযোগ পাচ্ছে। যা ডিজিটাল যুগের একটি অনন্য অবদান। এই পেশার মাধ্যমে নিজের খরচ সহ পরিবারকেও সহযোগিতা করতে পারবে। তবে সততা ও বিশ্বাস থাকতে হবে। যখন একটা কাস্টমার ৪০%/৫০% অগ্রীম করছেন কিন্তু আপনি তাদের বিশ্বাস ভঙ্গ করছেন তাদের পোশাক ডেলিভারি না করেন তাহলে কখনই আপনি সফল হতে পারবেন না। আগামী ঈদ উপলক্ষে কিছু নতুন ডিজাইন আসছে যেগুলো সব শ্রেনীর মানুষ কিনতে পারবেন যার মূল্য ১৫০০ থেকে ১৭০০০ টাকা পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে-মেয়েদের শাড়ি, সোলোয়ার-কামিজ, গাউন, মিক্স ড্রেস, লেহেংগা, কুর্তি, লাছা, টপস’সহ নানা ডিজাইনের পোশাক। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে ফ্যাশন জগতে নিজেকে একজন সফল ডিজাইনার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি।
আফি’স সফিষ্টিকেশন এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ভিজিট ও অর্ডার করুন