সৌদি আরব, লেবাননের পর এবার শিগগিরই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলে দেয়ার ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছেন জনশক্তি রফতানি খাতের ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে মালয়েশিয়া সরকার কাজ করছে জানিয়ে, ব্যক্তি খাতের ব্যবসায়ীরা চাহিদা অনুসারে কর্মী পাঠাতে মালয়েশিয়ার জন্য নতুন ডাটাবেজ করার পরামর্শ দিয়েছেন। এদিকে, দেশটির পক্ষ থেকে জনশক্তি আমদানির ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গে কর্মী পাঠাতে সরকার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী।
চার বছর বন্ধ থাকার পর সরকারি পর্যায়ে প্রায় দশ লাখ কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যে ২০১২ সালে দু’দেশ সম্মত হলেও তখন মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পায় মাত্র দশ হাজার কর্মী। এ প্রক্রিয়া ব্যর্থ হওয়ার পর গত ১৮ ই ফেব্রুয়ারি ঢাকায় দু’দেশের মধ্যে পুনরায় সমঝোতা স্মারক সই হয়।
এ পর্যায়ে বিভিন্ন খাতে ১৫ লাখ কর্মী নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও মাত্র একদিনের ব্যবধানে সব দেশ থেকেই কর্মী নেয়া বন্ধ ঘোষণা করে মালয়েশিয়া সরকার। তবে সকল জটিলতা দূর করে শিগগিরই বহুল প্রতীক্ষিত শ্রমবাজারটি পুনরায় খুলবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্তি খাতের ব্যবসায়ীদের।
জনশক্তি রফতানিকারক মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বাবুল বলেন, নতুন অনলাইনের মাধ্যমে একটা পদ্ধতি চালু করার জন্য তারা সারা পৃথিবী থেকে কর্মী নেয়া বন্ধ করেছিল। সেই পদ্ধতিটি তারা উন্নীত করেছে। বাংলাদেশের কর্মী নেয়ার জন্য তারা আবেদন করেছে। আর আমরা এখন অপেক্ষায় আছি কবে তারা তাদের নতুন পদ্ধতি চালু করবে।
মালয়েশিয়ার বাজারে প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদার কথা জানিয়ে তারা বলেন, চাহিদামত কর্মী পাঠাতে নতুন ডাটাবেজ তৈরির পাশাপাশি পুরো প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে।
এ বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত হবে এবং এবার শতভাগ স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাভেদ আহমেদ।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম জানান, ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গেই কর্মী পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছে সরকার। তবে, চূড়ান্ত ঘোষণার আগে কারো সাথে অর্থ লেনদেন না করতে কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী।