টিম বাংলাদেশের জন্য ইংল্যান্ড সিরিজে সফলতা পাওয়াটা হবে বড় এক চ্যালেঞ্জ। এমনটাই মন্তব্য করেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। যুক্তিতে তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, দীর্ঘ দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকায় আসন্ন সিরিজটি কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরতে মরিয়া এই ক্রিকেটার নিয়মিতই অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন মিরপুরের অ্যাকাডেমি ও ইনডোরে।
ঘরোয়া ক্রিকেটের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে কিছুদিন আগেই। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে তাই নিয়মিত অনুশীলন করছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ক্রিকেটের বাইরে যখন ছিলেন। তখনও নিজেকে ফিট রাখতে নিয়মিতভাবেই করেছেন অনুশীলন। বিসিবির ফিজিও কোরি বকিংয়ের সাথে কাজ করছেন ফিটনেস নিয়ে।
আশরাফুল বলেন, ‘ক্রিকেটকে আমি ভালবাসি। গত তিন বছর ক্রিকেটকে আমি ভীষণ মিস করেছি। যে কারণে খেলার বাইরে ছিলাম সেই শাস্তিটা সংক্ষিপ্ত হবে না জানতাম। তাই শাস্তির পরে যেন আবার ফিরে আসতে পারি এবং যখন ফিরে আসবো তখন যেন কারো মনে না হয় যে আমি মাঠের বাইরে ছিলাম, সেটাই আমার প্রতিজ্ঞা ছিল। এই জন্যই আমি গত তিন বছর মাঠের বাইরে থেকেও খেলেছি এবং কঠোর অনুশীলন করেছি।’
আশরাফুল জানান, ‘গত সাড়ে তিন বছর খেলার বাইরে ছিলাম। বিসিবির অধীনে অনুশীলনের সুযোগ পাচ্ছিলাম না। তবে গত দুই সপ্তাহ ক্রিকেট বোর্ডের অধীনে অনুশীলন করছি। ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেললেও গত সাড়ে তিন বছর আমি খেলার মধ্যেই ছিলাম। আমেরিকাতে গিয়ে খেলেছি, ঢাকাতে খেলেছি। একা একা অনুশীলন করেছি। এই দীর্ঘ সময় এখানে অনুশীলনের সুযোগ না পেলেও এখন আবার পাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে সুযোগ হয়েছিল একটি পরীক্ষা দেয়ার। আল্লাহর রহমতে ফিটনেস ভালোই আছে।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৩ সালে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে সবশেষ মাঠে নেমেছিলেন অ্যাশ। জাতীয় দলকে মিস করেন প্রতিনিয়তই। আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজ নিয়ে তার মত বাংলাদেশের জন্য সিরিজটা হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
আশরাফুল জানালেন, ‘যদি এই সিরিজটা চার-পাঁচ মাস আগে হতো তাহলে খুব কঠিন হতো না। গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরে আমরা কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলিনি। পক্ষান্তরে ইংল্যান্ড হোম অ্যান্ড অ্যাওয়েতে চমৎকার ক্রিকেট খেলছে। কিন্তু আমাদের ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি নেই। প্রিমিয়ার ডিভিশনে আমাদের তারকা প্লেয়াররা ভালো খেলেছে।’
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন পেসাররা। সে তুলনায় এক সাকিব আল হাসান ছাড়া কোনো স্পিনার তেমনিভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। আশরাফুলের মত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো করতে স্পিনারদেরও অবদান রাখতে হবে।
আশরাফুল বলেন, ‘মোস্তাফিজকে আমরা অনেক মিস করবো। সে মাঠে থাকা মানেই টাইগারদের সিরিজ জেতা সহজ।’
এদিকে, অ্যাশের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে বিসিএল খেলা নির্ভর করছে নির্বাচক আর ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ওপর। কেননা দীর্ঘ বিরতির পর তার স্কিল আগের মতোই আছে কিনা তা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে আশরাফুল আশাবাদী নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেই আবারো মাঠের ক্রিকেটে ফিরবেন।