প্রাণভিক্ষার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলী। তৃতীয়বারের মতো জিজ্ঞাসা করার কথা থাকলেও এখনও এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ থেকে কিছু জানা যায়নি।
এদিকে, কাশিমপুর কারাগারের আশপাশে বাড়তি নিরাপত্তা রাত থেকে সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলী দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়, পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিলেন।
গত মঙ্গলবার আপিল বিভাগ সেই আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়। নিয়ম অনুযায়ী এরপর তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন না করলে যে কোনো সময় এই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকর হতে পারে। কারাগারে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর কাছ থেকে সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হবে।
তবে বুধবার প্রাণভিক্ষার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নিখোঁজ ছেলের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন জামায়াতের এই নেতা। তবে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে মীর কাশেম আলীকে এত লম্বা সময় দেয়ার সুযোগ নেই বলে জানান আইজি প্রিজন।