মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসিতে ঝোলানোর পর আলবদর কমান্ডার মীর কাসেম আলীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চালা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে মীর কাসেমের মরদেহ এসে পৌঁছালে তা গ্রহণ করেন তার পরিবারের সদস্যরা। পরে কড়া নিরাপত্তায় সোয়া ৩টার দিকে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর স্থানীয় মসজিদের উত্তর পাশের কবরস্থানে সাড়ে ৩টায় তাকে দাফন করা হয়।
ভোর পৌনে ৪টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্দেশে রওনা হয় কারাগারের গাড়ি বহর।
এর আগে বিকেল থেকে কবর খোড়ার কাজ শুরু হয়, শেষ হয় রাতে। বিকেল থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেনস্ থানীয় প্রশাসন।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টার পর ফাঁসিতে ঝোলানো হয় দেশের শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীকে। গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর ফাঁসির মঞ্চে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
সে সময় কারাগারের সামনে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের উদ্দেশে সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক বলেন, রাত ১০টার পরই মীর কাসেম আলীকে ফাঁসির মঞ্চে তুলে গলায় ফাঁস পরানো হয়। আর এরপর ফাঁসি দিয়ে ঠিক রাত ১০টা ৩০ মিনিটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
মীর কাসেমের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধে ষষ্ঠ শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এর আগে একই অপরাধে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী এবং জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়।