মীর কাসেমের ফাঁসির খবরে রাতে শাহবাগে উল্লাসে ফেটে পড়ে গণজাগরণ মঞ্চ। মিছিল শ্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। বের করা হয় আনন্দ মিছিল। মিছিলটি প্রজন্ম চত্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড় ঘুরে আবারো শাহবাগে এসে শেষ হয়। এসময় বাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত শেষ করার দাবি জানানো হয়।
এ সময় ডা. ইমরান এইচ সরকার জানান, জামায়াতের অর্থের মূল যোগানদাতা মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকরে দলটি দুর্বল হয়ে পড়বে।
স্বাধীন বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য অর্জনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখারও দাবী জানান তিনি।
এদিকে, ফাঁসি কার্যকর হওয়ার খবরে একাত্তরে মীর কাসেমের টর্চার সেল হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামে মহামায়া ডালিম হোটেলের সামনে অবস্থান নেন সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।
ফাঁসির রায় কার্যকর সাথে সাথেই আনন্দে ফেটে পড়েন তারা। এসময় তাদের সাথে এসে যোগ দেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের নেতাকর্মী, শহীদদের সন্তান ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। তারা মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন শ্লোগানে শ্লোগানে মুখর করে তুলেন পুরো এলাকা। পরে মোমবাতি প্রজ্বলন করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় তাদের মোমের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠে অভিশপ্ত মহামায়া ডালিম হোটেল ও তার আশপাশের এলাকা। একই অবস্থা ছিলো মীর কাসেম আলীর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার সাক্ষী মৃদুল দে’র হাজারীগলির বাড়িতেও। সেখানে পরস্পরকে মিষ্টি খাইয়ে দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন তারা।
এদিকে, দেশের বিভিন্ন স্থানেও রায় কার্যকরের পরপরই মিষ্টি বিতরণসহ আনন্দ মিছিল করেছেন সাধারণ মানুষ। এসময় তারা যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমের রায় কার্যকর করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান।