বরিশালে সন্ধ্যা নদীতে ডুবন্ত লঞ্চ টেনে তোলার পর আরও চারজনের লাশ মিলেছে। ওই চারজনই শিশু। নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮ জন। বিআইডব্লিউটিএ’র বরিশাল বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লঞ্চটি টেনে তীরে নিয়ে আসা হয়। বুধবার দুপুরে বানারীপাড়া উপজেলার দাশেরহাটের মসজিদবাড়ি ঘাটে যাত্রী ওঠানোর সময় ‘এমএল ঐশী’ নামের লঞ্চটি ডুবে যায়। দিনভর তল্লাশি চালিয়ে প্রথমদিন ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আরও ২৫ জন নিখোঁজ থাকার কথা জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে উদ্ধারকারী যান নির্ভীক ঘটনাস্থলে এসে ডুবন্ত লঞ্চটি টেনে তোলার কাজ শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় লঞ্চটি টেনে তোলার পর ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে চার শিশুর লাশ পাওয়া যায়। তবে এখনও তাদের পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনকে প্রধান করে ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে বরিশালের জেলা প্রশাসক কাজী মো. সাইফুজ্জামান জানিয়েছেন।