প্রিয়জনের সন্ধানে প্রতিদিনই কারখানা এলাকায় ভিড় করছেন স্বজনরা। প্রত্যাশা, অন্তত লাশটি খুঁজে পাবেন। এদিকে, উদ্ধারকারীরা বলছেন, নিখোঁজদের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত চলবে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ।
সাড়ে তিন বছর বয়সী সামিয়া। মায়ের সঙ্গে গত ১৩ দিন ধরে খুঁজছে বাবাকে। বাবা তাকে ঈদে মেহেদি কিনে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ছোট্ট শিশুটি জানে না, আর কোন দিন হয়তো ফিরবে না তার বাবা। গত ১০ সেপ্টেম্বর টঙ্গীর টাম্পাকো ফয়েল কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে খোঁজ মিলছে না বাবা মাসুম আহম্মেদের।
টাম্পাকো ট্রাজেডির ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৫ জন। এর মধ্যে ২৯টি লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে। বিকৃত হয়ে যাওয়ায় ডিএনএ টেস্টের অপেক্ষায় ঢাকা মেডিকেলে আছে ৬টি লাশ। আর দুর্ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত খোঁজ মিলছে না পাঁচ শ্রমিকের।
এসব শ্রমিকদের স্বজনরা প্রতিদিনই ভিড় করছেন টাম্পাকো কারখানা এলাকায়। জীবিত উদ্ধারের আশা ছেড়ে দেওয়া স্বজনদের প্রত্যাশা অন্তত খোঁজ মিলুক প্রিয়জনের মরদেহের। দুর্ঘটনার ১৩দিন কেটে গেলেও এখনো পুরোপুরি নেভানো যায়নি টাম্পাকোর আগুন। সমন্বিত উদ্ধার কার্যক্রম শেষ হতে আরো ১০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে।
সাভারের স্পেকট্রাম থেকে রানা প্লাজা, তাজরিন থেকে টঙ্গীর টাম্পাকো কারখানা। দেশের শিল্প কারখানার দুর্ঘটনায় গত ৮ বছরে প্রাণ গেছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শ্রমিকের। মৃত্যুর এই সারি আর কতো দীর্ঘ হলে নিরাপদ কর্মপরিবেশের নিশ্চয়তা পাবেন শ্রমিকরা।