শেখ হাসিনার নেতৃত্বের অনমনীয় দৃঢ়তা
লেখকঃ অাবদুল মালেক, কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।।
সহ-সম্পাদনায়ঃ ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী।। কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক। উপদেষ্টাঃ স্বদেশ নিউজ২৪.কম ।
তলাবিহীন ঝুড়িটি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন-মান উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যু রোধে রোলমডেল। অামরা নিম্নমধ্যম অায়ের দেশের নাগরিক, এটি রূপকথা নয়। ভঙ্গুর বিদ্যুত খাত পুনর্গঠনে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘দ্রুত বিদ্যুত চাই, সই করে দিচ্ছি, জেল হলে অামার হবে’। এমন সাহসী উচ্চারন বঙ্গবন্ধুর কন্যার পক্ষেই সম্ভব।
দেশে এখন বিদ্যুত কেন্দ্রের সংখ্যা শতাধিক, উৎপাদন সম্ভব প্রায় ১১০০০ মেঘাওয়াট। এই বিদ্যুত নিশ্চয়ই শেখ হাসিনা বা তাঁর দলের লোকই ব্যবহার করেনা? দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ অাজ বিদ্যুত সুবিধার অাওতায়। অথচ ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহনের সময়ে তা ছিল ২৫-২৮ শতাংশ। জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে প্রয়োজন ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার ও যুদ্ধাপরাধীর বিচার। তাও করছেন অত্যন্ত দৃঢ়তায়।
দেশ ও মানুষের জন্য শেখের বেটির দরদের কমতি নেই, তবে তাদের উন্নত জীবন নির্মানে তাঁর কাছে অালাদিনের চেরাগ ছিলনা, ছিল মেধা, সদিচ্ছা, দৃঢ় মনোবল এবং সর্বোপরি সাধারন মানুষের নিঃশর্ত ভালোবাসা। তা নিয়েই যাত্রা শুরু। ক্ষমতার তৃতীয় মেয়াদের এই সময়ে এসে অাজ তিনি বিশ্বনেতাদের একজন। জাতীয় ও অান্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ অাজ একটি সমীহ জাগানিয়া নাম, বিনিয়োগে অাস্থার নাম।
শত প্রতিকুলতা ও জীবনের প্রবল ঝুঁকি মোকাবেলা করেই অগ্রসরমান শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবন। ১৯৯৬ সালে টালমাটাল রাজনৈতিক পরিবেশের মধ্যেও দেশে স্থিতিশীলতা অানেন। দীর্ঘ সময় ধরে চলা পাহাড়ি জনপদের অাসে শান্তির সুবাতাস। তিনি ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি করেন। ভারতের সাথে দীর্ঘদিনের অাটকে থাকা গঙ্গাচুক্তিও তাঁরই অবদান। অথচ অামাদের বেগম সাহেবা নাকি গঙ্গার পানির কথা ভুলেই গেছলেন!!
সরকার এটা অনুধাবন করেছে দ্রুত উন্নতির জন্য উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থার বিকল্প নেই। প্রতিষ্ঠা হচ্ছে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল যাতে বিদেশি বিনিয়োগ অাকৃষ্ট হয়। এর সুফলও পেতে শুরু করেছে সরকার। এক লক্ষ ষাট হাজার কোটি টাকার চীনা বিনিয়োগ পাইপলাইনে। বিশ্বব্যাংক ও অামেরিকার অনীহার পদ্মাসেতু অাজ দৃশ্যমান বাস্তবতা। শেখ হাসিনা এখানেই অালাদা, নানামুখী চাপ সামালে দেশের কল্যানে কাজ করার কৌশল জানেন।।
জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।।