প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভুয়া ভোটার তালিকা করবে এমন নির্বাচন কমিশন চায় বিএনপি। বলেছেন- আওয়ামী লীগ ছবিসহ ভোটার তালিকা করায় তাদের ভোট কারচুপির ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।
রোববার বিকেলে গণভবনে সাম্প্রতিক কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি। কাশ্মীর ইস্যুতে আলোচনার মাধ্যমেই ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্বের নিরসন হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।
বরাবরের মতো এবারো বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে সংবাদ সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার; গণভবনে বড় জমায়েত সংবাদ কর্মীদের।
কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে গেলো শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশে ফেরার একদিন পরই রোববার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় কানাডায় গ্লোবাল ফান্ড কনফারেন্স এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনসহ বিদেশের মাটিতে সম্পন্ন করে আসা বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান শেখ হাসিনা।
সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, ভুয়া ভোটার তালিকা করেই নির্বাচনে আসতে চায় বিএনপি; তাই কমিশন পুনর্গঠনের দাবি তুলেছে দলটি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন যে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করেছিল, তাতে এক কোটি ৩৯ লাখ ভুয়া ভোটার ছিল।’
‘তারা কী এমন নির্বাচন কমিশন চায়, যারা ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি করে দেবে? এক কোটি ভুয়া ভোটার থাকলে তো আর কিছু লাগে না।’
এসময়, কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যেকার বিদ্যমান দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, দ্বি-পাক্ষিক আলোচনাতেই সমাধান খুঁজে নেবে দু’দেশ।
তিনি সীমান্তে উত্তেজনার জেরে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে টানাপোড়নের বিষয়ে বলেন, এই দু’দেশের মধ্যে কোনো সংঘাত হলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো সবচেয়ে বেশি। এটি কাম্য নয়। এই অঞ্চলে শান্তি বজায় থাকুক এটিই আমরা চাই।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের আসন্ন জাতীয় কাউন্সিল নিয়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন- সবার মত নিয়ে যথাসময়েই অনুষ্ঠিত হবে কাউন্সিল। তিনি বলেন, দল চাইলে সভাপতি পদ থেকেও অবসরে যেতেও প্রস্তুত তিনি।
হাসিনা বলেন, কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা যেভাবে চাইবেন, সেভাবেই সব হবে। আমার তো ৩৫ বছর হয়ে গেছে। আমাকে যদি রিটায়ার করার সুযোগ দেয়, তাহলে আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হবো। তবে অবশ্যই আমি থাকবো। দল ছেড়ে তো আমি যাচ্ছি না। যদি নতুন নেতা নির্বাচিত করা হয়, তাহলে সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হবো।