লেখকঃ আবদুল মালেক। কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
সম্পাদনায় – ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী। কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক। উপদেষ্টা – স্বদেশ নিউজ২৪.কম
দরিদ্র মানুষের জীবন-মান উন্নয়নে উদ্যোগী সরকার। ফলে হতদরিদ্রের হার ১৮% থেকে নেমে ১২.৯%। দশ টাকার চাল তেমনই একটি উদ্যোগ। উদ্যোগটি বাস্তবায়নে অাছে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী, দলীয় লোকজন। দু’পক্ষ সৎ হলে ১০ বছরের সাফল্য দু’বছরেই সম্ভব। এক্ষেত্রে অনিয়মই বাঁধা। দুস্থ-মা ও বিধবারা অামাদেরই মা-বোন এবং দশ টাকার চাল তাদেরই জন্য।
দশ টাকা কেজিতে চাল দেয়ার অঙ্গীকার ছিল মহাজোট সরকারের। দীর্ঘ সময় পরে হলেও এই অঙ্গীকার পূরনে কার্যকরি ভূমিকা গ্রহন করেছে সরকার। দেরিতে হলেও কার্যকরি উদ্যোগ নেয়ায় অভিনন্দন জানাই শেখের বেটিকে। দেশের সর্বনিম্ন অায়ের ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ৫০ লক্ষ পরিবার এই সুবিধার অাওতায় অাসছে। বিষয়টি হেলাফেলার নয়। মানুষের কল্যানের এ উদ্যোগ যেন লোভীদের কারনে পথ না হারায়।
মানুষের জন্য সরকারি সাহায্য যথাযথ পাত্রে না পৌছার অপসংস্কৃতি অজানা নয়। জনপ্রতিনিধি’রা যে গরীবের চাল, গমে ভাগ বসায়’ এটিও জানা। ইউপি সদস্য থেকে সংসদ সদস্য, কেউ এ অভিযোগ থেকে মুক্ত নন। এর সাথে থাকে থানা পর্যায়ে PIO সাহেব, যাদের লোভ সীমাহীন। অাবার যাদের ভোট দিয়ে প্রতিনিধি বানাই, গম-চাল চুরি করা যেন তাদের হক। এবার দশ টাকার চালে এই ছ্যাচরামি/ছ্যাবলামি হবেনা বলেই অাশা করতে চাই।
অবশ্য অতীত অভিজ্ঞতা সুখের নয়। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘অামি ভিক্ষা করে চাল অানি, চাটার দল সে চালেও ভাগ বসায়’। হিমালয়ের মতো ধৈর্যশীল বঙ্গবন্ধু কম যন্ত্রনায় এ কথা বলেননি। অাজকের প্রধানমন্ত্রী ১০ টাকা কেজিতে চাল দিচ্ছেন ৫০ লক্ষ পরিবারকে। চাল তিনি নিজে দেবেন না, এ জন্য ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এবং নিঃসন্দেহে এই ডিলার অাওয়ামী লীগের বা চৌদ্দদলের নেতা-কর্মী।
ইতোমধ্যেই এই চাল বিতরনে অনিয়মের খবর অাসতে শুরু করেছে, যা অতি-অবশ্যই দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক। অাসুন সরকারের অত্যন্ত অান্তরিক এই উদ্যোগের পাশে দাড়াই। যেন কেউ কোন প্রকার নয়-ছয় করতে না পারে সেদিকটি দেখি। সবাই অান্তরিক হলে বেঁচে যাবেন ৫০ লক্ষ পরিবার, বেঁচে থাকবে বাংলাদেশ। অাওয়ামী লীগের দলীয় নেতা-কর্মীরা সক্রিয় ভূমিকা গ্রহন করলে এই উদ্যোগটি সফল না হবার কোনোই কারন দেখিনা।।
জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।