টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করলো পাকিস্তান। প্রথম দুই ম্যাচ ১১১ ও ৫৯ রানে জয়ের পর শেষ ম্যাচটি পাকিস্তান জিতলো ১৩৬ রানের বিশাল ব্যবধানে। এই জয়ে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে অষ্টম স্থানে উঠে গেছে পাকিস্তান। পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেটিং পয়েন্ট যথাক্রমে ৮৯ ও ৮৮। পাকিস্তানের এ সিরিজ জয়ের নায়ক টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান বাবর আজম। সিরিজের তিন ম্যাচেই সেঞ্চুরি করলেন তিনি। প্রথম দুই ম্যাচে ১২০ ও ১২৩ রানের পর তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে করলেন ১১৭ রান। ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রতিটিতে সেঞ্চুরি করলেন বাবর। তিনি ছাড়া এই কৃতিত্ব আছে একমাত্র কুইন্টন ডি ককের। দক্ষিণ আফ্রিকার এ ব্যাটসম্যান ২০১৩-১৪ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে এই কৃতিত্ব গড়েন। তবে তিন ম্যাচে ওয়ানডে সিরিজে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এখন বাববের দখলে। ডি কক সেবার ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচে করেন ৩৪২ রান। কিন্তু তাকে টপকে বাবর এবার করলেন ১২০ গড়ে ৩৬০ রান। ওয়ানডে ইতিহাসে টানা তিন কিংবা তারচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে মাত্র আটজন ব্যাটসম্যানের। অবশ্য একমাত্র কুমার সাঙ্গাকারা করেছেন টানা চার সেঞ্চুরি। বাবরের আগে এক সিরিজে পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানের টানা তিন সেঞ্চুরির রেকর্ড নেই। তবে মোট মিলিয়ে পাকিস্তানের জহির আব্বাস ও সাঈদ আনোয়ারের টানা তিন সেঞ্চুরির ঘটনা আছে। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে সাঈদ আনোয়ার তিন ম্যাচে ১০৭, ১৩১ ও ১১১- মোট করেন ৩৪৯ রান। এক্ষেত্রে বাবর কাকে টপকে তিন ম্যাচে করলেন ৩৬০ রান।
সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটে গিয়ে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৬ উইকেটে ৩০৮ রান। জবাবে ৪৪ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৭০ বলে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন দিনেশ রামদিন। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান আসে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ক্রেইগ ব্রেথওয়েটের ব্যাট থেকে। এর আগে পাকিস্তানের বড় স্কোর গড়েন অধিনায়ক আজহার আলী ও বাবর আজম। শারজিল খান ৩৮ রানে ফেরার পর দ্বিতীয় উইকেটে তারা গড়েন ১৪৭ রানের জুটি। আজহার আলী ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে আউট হন ১০৯ বলে ১০১ রানে। পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ তিন সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন আজহার আলীর (২৮ ম্যাচে)। এর আগে ইনজামাম উল হক (৮৭ ম্যাচ) ও শহিদ আফ্রিদির (৩৮ ম্যাচ) অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ দুই সেঞ্চুরি ছিল। আর এদিন বাবর আজম ১ ছক্কা ও ৮ চারে ১০৬ বলে করেন ১১৭ রান।