আবিদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর, স্বদেশ নিউজ২৪.কম
অতীত যদি প্রেরণার উৎস হয় তাহলে বেশি পেছনে তাকাতে হবে না বাংলাদেশকে। এই তো ২০১৫ বিশ্বকাপ। অ্যাডিলেড। ইংল্যান্ডের সর্বনাশই করেছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। তার আগে ইংল্যান্ডের কানের পাশ থেকে গুলি চলে যায় ২০১১ বিশ্বকাপে। সেবার ভেন্যু ছিল চট্টগ্রাম। ২০১১র বিশ্বকাপের হারের পরও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয়নি ইংলিশদের। কিন্তু গেল বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ইংল্যান্ডকে বিদায় করে দিল বাংলাদেশ। নিজেরা উঠে গেল প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে তিন ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। খেলা শুরু দুপুর আড়াইটায়। গেল বিশ্বকাপের দলটির সাথে বর্তমান বাংলাদেশ দলের খুব পার্থক্য হয়তো নেই। কিন্তু ওই বিশ্বকাপের সাথে ইংল্যান্ডের বর্তমান দলের অনেক দিয়ে পার্থক্য। তখন বিপর্যস্ত একটি দল ইংলিদের। এখন দারুণ উজ্জীবীত। এই যে বুধবারই যে পাকিস্তান ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করলো আমিরাতে সেই পাকিস্তানকে ইংলিশরা পাত্তাই দেয়নি তাদের দেশে। টানা ৪ ওয়ানডেতে হেলাফেলায় হারিয়েছে। শেষটা হারলেও ইংলিশদের দাপট ছিল দেখার মতো। ওই সিরিজেই ইংলিশরা ৩ উইকেটে করেছিল ৪৪৪ রান। ওয়ানডে ইতিহাসের বিশ্বরেকর্ড গড়া দলগত রান। ভেঙেছিল এক দশক আগে করা শ্রীলঙ্কার রেকর্ড। সিরিজটিতে যা করতে চেয়েছে তাই করতে পেরেছে ইংল্যান্ড। ওই দলের অধিনায়ক এউইন মরগ্যান ও সফল ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেলস নিরাপত্তার ভয়ে বাংলাদেশে আসেননি। কিন্তু তাতে শক্তির তারতম্য হয়তো খুব একটা হবে না ইংলিশদের। কারণ, দলে নানা পরিবর্তনের মধ্যেই ১৮টি ম্যাচ তো তারা জিতেছে বাংলাদেশের কাছে ওই হারের পর। বলা হচ্ছিল অতীত পারফরম্যান্সে উজ্জীবীত হওয়ার কথা। টাইগাররা তা হতেই পারে। নিজেরা আছে দারুণ ফর্মে। দেশের মাটিতে টানা ছয়টি সিরিজ জিতেছে। এর মধ্যে ৫টি টানা। হারানো দলগুলোর মধ্যে আছে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো প্রতিপক্ষ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগে পারা যেত না। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। ইংলিশদের বিপক্ষে খেলা ১৬ ওয়ানডের ৩টিতেই জয়। এই তিনটি আবার শেষ চার ম্যাচে। সুতরাং, মাশরাফির দল তো সাম্প্রতিক অতীত থেকেই নিতে পারে প্রেরণা।