ঝড়ের তাণ্ডবে দেশটির জেরেমি শহরের ৮০% ভবন ধসে পড়েছে। সুদ প্রদেশে ধ্বংস হয়ে গেছে ৩০ হাজার ঘরবাড়ি। ভয়াবহ এ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে দরিদ্র এ দেশটিতে।
এদিকে, হাইতির পর যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূলে আঘাত হানে ম্যাথিউ। সেখানেও মারা যান চারজন। এরই মধ্যে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ মানুষকে।
হাইতিতে হারিকেন ম্যাথিউর তাণ্ডব বেড়েই চলছে নিহতের সংখ্যা। উত্তর আমেরিকার দরিদ্র এ দেশটিতে নিহতের তালিকা দীর্ঘ হয়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৮৪২ এ।
গত ২০১০ সালের ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি থেকে এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দেশটি এরইমধ্যে এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব। ম্যাথিউর তাণ্ডবে হাইতির জেরেমি শহরের ৮০% ভবন ধসে পড়েছে। সুদ প্রদেশে ধ্বংস হয়ে যায় ৩০ হাজার ঘরবাড়ি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার হাইতির দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানে ম্যাথিউ। আক্রান্ত হয় কিউবা ও ডমিনিক্যান রিপাবলিক। বেসরকারি সংস্থার খবরে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় ফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে খাবার আর পানির সংকট। দূরবর্তী অনেক এলাকা এখনো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ওইসব এলাকায় হেলিকপ্টের মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে।
জাতিসংঘের জানিয়ে, নিহতের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে।
সাহায্য সংস্থাগুলো বলেছ, ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে ধারণা পেতে আরো চার-পাঁচ দিন অপেক্ষা করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে তিন লাখ মানুষকে সহযোগিতা প্রযোজন বলে জিনিয়েছে জাতিসংঘ। এরইমধ্যে ৯টি হেলিকপ্টরসহ সাহায্য জাহাজ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
হাইতির পর শুক্রবার ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকুলে আঘাত হানে ম্যাথিউ। সেভানে মারা যান চার জন। এরই মধ্যে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ মানুষকে।