সময়ের সামান্য হেরফের হলেও অাওয়ামী লীগের সম্মেলন হয় নিয়মিতই। সাধারন জনগনের চিন্তার ধারক এই দলটি শুধুই রাজনৈতিক দল নয়, উপমহাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানও বটে। ২২-২৩ অক্টোবর-১৬, অনুষ্ঠিত হবে ২০তম জাতীয় সম্মেলন। অনেক শুভকামনা রইলো মাটি ও মানুষের প্রাণপ্রিয় এই দলটির জন্য। সুন্দর হোক অাগামীর পথচলা।
ধারনা করা হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের অনন্য মাইলফলক হবে ক্ষমতাসীন দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলন। ঐতিহ্য ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে নবীন-প্রবীনের সমন্বয়ে সাজবে অাগামীর নেতৃত্ব। হবে গঠনতন্ত্রের পরিবর্তন, ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়নও হবে। অার এ সবই হবে অাগামী জাতীয় নির্বাচনকে টার্গেট করে।
এবারের জাতীয় সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য, “উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার, এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার”। হ্যা, অাওয়ামী লীগ উন্নয়ন, অগ্রগতি, সম্ভাবনা ও সমৃদ্ধির কথা বলতেই পারে। বিগত সময়ের দৃশ্যমান অর্জন এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা যদি কোনো দলে থেকে থাকে তবে তা কেবলই অাওয়ামী লীগে অাছে, এবং দলটি যা বলে ও বিশ্বাস করে তা বাস্তবায়নে নিবেদিত।
পদ-পদবী’র দিক থেকে দলীয় সভানেত্রী ও সাধারন সম্পাদক, এ দু’টি পদে রদবদলের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ, বিশেষত সভানেত্রী। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে বিগত যোগ্যতার চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। যারা যোগ্য তারা স্বপদে বহাল থাকবেন, এমনকি পদোন্নতিও হতে পারে। এবারের সম্মেলনে প্রভাবশালীসহ বিপুল সংখ্যক বিদেশি অতিথি যোগ দেবেন। যদিও এর সুনির্দিষ্ট কোনো তালিকা প্রকাশ করেনি দলটি। অার নিরাপত্তার বিষয়টি নজরদারি করা হচ্ছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে।
সবশেষে বঙ্গবন্ধু পরিবারের কথা না বললেই নয়। শেখ হাসিনা পা দিলেন সত্তর বছরে। তাঁর কোনো যোগ্য উত্তোরসূরি রাজনীতিতে এলে মন্দ কি? তাঁর একমাত্র পুত্র তথ্য-প্রযুক্তিবিদ ও প্রধানমন্ত্রীর সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপদেষ্টা ড. সজীব ওয়াজেদ জয় এবং শেখ রেহানার ছেলে ববি রেদোয়ান সিদ্দিক। তারা সরাসরি রাজনীতি করবেন কি-না সেটি একান্তই তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। তবে এটি স্পষ্ট, দুই খালাতো ভাই এবারের নতুন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় প্রজন্ম, দুই নবীনকে জনগনের রাজনীতির ভুবনে অাগাম স্বাগতম।।
জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।।