1. ccadminrafi@gmail.com : Writer Admin : Writer Admin
  2. 123junayedahmed@gmail.com : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর
  3. swadesh.tv24@gmail.com : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম
  4. swadeshnews24@gmail.com : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:
  5. hamim_ovi@gmail.com : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  6. skhshadi@gmail.com : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান: : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
  7. srahmanbd@gmail.com : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  8. sumaiyaislamtisha19@gmail.com : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান
দুনিয়াতে থেকেই আল্লাহর পরিচয় লাভ করতে হবে : আশেকে রাসূল (সঃ) সম্মেলনে দেওয়ানবাগী (মা: আ:) - Swadeshnews24.com
শিরোনাম
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে যা বললেন নিপুণ তালিকা দিতে না পারলে ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে বললেন ওবায়দুল কাদের প্রকাশিত হলো দিদারের ‘বৈশাখ এলো রে এলো বৈশাখ’ আ.লীগের মতো ককটেল পার্টিতে বিশ্বাসী নয় বিএনপি: রিজভী হৃদয় খানের সঙ্গে জুটি ন্যান্সিকন্যা রোদেলার শাকিব ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পুরুষকে ভাবতে পারি না: বুবলী শাকিবের এমন সময় আমাদেরও ছিল: ওমর সানী কত টাকা সালামি পেলেন জায়েদ খান, দিতে হলো কত লাখ? শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে,দেনমোহর, বিচ্ছেদসহ নানা বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন বুবলী দেশের আকাশে চাঁদ দেখা যায়নি, বৃহস্পতিবার ঈদ বাড়তি ভাড়া চাওয়ায় ‘যাত্রীদের মা’র’ধরে’ বাসচালক ও হেলপার নি’হ’ত ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে সাকিব ‘শাকিবের সঙ্গে আমার বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি’ কেন নিপুণের প্যানেলে নির্বাচন করছেন জানালেন হেলেনা জাহাঙ্গীর তসিবা’র ঈদ ধামাকা “জানু স্বামী”

দুনিয়াতে থেকেই আল্লাহর পরিচয় লাভ করতে হবে : আশেকে রাসূল (সঃ) সম্মেলনে দেওয়ানবাগী (মা: আ:)

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৬
  • ১৮৯৩ Time View

14639846_1286802408031406_161310551592119709_nমামুনুর রশীদ রাজ, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান, স্বদেশ নিউজ২৪.কম : আজ দেওয়ানবাগ শরীফের বাবে রহমতে পবিত্র আশুরা ও দেওয়ানবাগ শরীফের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আশেকে রাসূল (সঃ) সম্মেলনে সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী) হুজুর আশেকে রাসূল ও মুক্তিকামী মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন,আজ ঐতিহাসিক আশুরা। যা জগতবাসীকে ধন্য করেছে। পবিত্র আশুরা মহান রাব্বুল আলামিনের অভিষেকের দিন। আর এই অভিষেকের দিন হিসেবে এর ফজিলত অপরিসীম। আরেক দিক থেকে দুঃখের দিন। রাসূল (সঃ)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রাঃ) এই দিনে নিষ্ঠুরভাবে স্বপরিবারে কারবালায় শহীদ হয়েছিলেন। ইমাম পরিবারের শহীদ হওয়াটা ইসলাম ধর্মের জন্য বড় কষ্টের। যার ফলে আমরা হযরত রাসূল (সঃ)-এর ধর্মটা হারিয়ে ফেলেছি। পরবর্তীতে এজিদরা তাদের ইচ্ছা মতই তারা ধর্ম পরিচালনা করেছে।

তিনি বলেন, আনন্দ এবং দুঃখের মাঝেই এই আশুরা বা ১০ই মহররম। রাব্বুল আলামিনের অপার দয়ায় এই পবিত্র আশুরা প্রতি বছরই ঘুরে ঘুরে আসে আমাদের মাঝে এবং প্রতি বছরই মানুষকে কাঁদিয়ে যায়। মানুষ কেঁদে মুক্তির বিধান করে। আশুরার দিন মানুষের মুক্তির বিধানের দিন। নবী পরিবারের জন্য যারা কান্না-কাটি করে তাদের গুনাহ মাফ হয়। এটা গুনাহ মাফের দিন। সুতরাং এই দিনটা আমাদের কাছে অতিব পবিত্র এবং অতিব সম্মানিত।

দেওয়ানবাগী বলেন, মহান রাব্বুল আলামিন সম্বন্ধে আমাদের জানার অনেক বাকি আছে। আমরা এবাদত করি অথচ মাবুদকে চিনি না। আমরা ধর্ম করি কিন্তু যিনি ধর্ম দিলেন তাঁর সম্বন্ধে আমাদের কোন ধারণা নেই। জিজ্ঞেস করলে আমরা বলব, আল্লাহ্ নিরাকার। অথচ পবিত্র কোরআনে আমরা তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখেছি আল্লাহ্ নিরাকার এমন একটা আয়াত পাইনি। কোন হাদিসে আমরা খুঁজে পাইনি আল্লাহ্ নিরাকার। আমাদের আল্লাহ্কে কে নিরাকার বানিয়ে দিয়ে গেল? নিরাকার মানে যার কোন অস্তিত্ব নেই। আল্লাহ্ কি নিরাকার? আল্লাহ্ এক। আমাদের প্রথম কথা সকল নবী-রাসূল বলেছেন আল্লাহ্ এক। কুলহুআল্লাহু আহাদ। আল্লাহ্ এক। এক গণিতের একটা সংখ্যা। যাকে গণনা করা যায় তাকে এক বলে। এক কি নিরাকার হয়? নিরাকারকে কি এক গণনা করা যায়? সুতরাং আল্লাহ্ যদি এক হন অবশ্যই তিনি নিরাকার না। নিরাকার হলে এক হবেন না। হায়াত-মউত, রিযিক-দৌলত, ইজ্জত-সম্মান কার হাতে? আমরা সবাই বলি, আল্লাহর হাতে। আবার জিজ্ঞেস করলে আমরা বলি, এটা কুদরতি হাত। আল্লাহর হাত আছে, তবে কুদরতি হাত। আল্লাহ্ কি শুধু কুদরতির উপরে নির্ভরশীল? তিনি কি স্বয়ংসম্পূর্ণ নন? সুতরাং আমরা মুখে বলি আল্লাহ্ নিরাকার আবার বলি হায়াত-মউত, রিযিক-দৌ14523131_1285733821471598_6239373780411932647_nলত, ইজ্জত-সম্মান আল্লাহর হাতে। আমাদের মুখে বলা আর স্বীকার করা তো এক না। বিপরীত হয়ে গেল? বান্দা প্রকাশ্যে বা গোপনে যা কিছু করে আল্লাহ্ দেখেন। আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ্ দেখেন। দেখার জন্য চক্ষু শর্ত। আল্লাহর কি চক্ষু আছে? চক্ষু থাকলে তিনি নিরাকার হবেন কিভাবে? তবে আল্লাহর নূরের চক্ষু মোবারক।

তিনি বলেন, আল্লাহর অস্তিত্ব অস্বীকার করলে মানুষ নাস্তিক হয়ে যায়। তাহলে কি করে আল্লাহকে আমরা নিরাকার বলি ? নিরাকার অর্থ অস্তিত্বকে অস্বীকার করা। সৃষ্টিজগৎ যিনি চালাচ্ছেন তাঁর অস্তিত্ব আছে না? সুতরাং বুঝে শুনে চলতে হবে। এমন একটা জামানায় এসেছি বা এসেছেন, যে জামানায় সবাই পন্ডিত। কিছু জানুক আর না জানুক নিজেকে পন্ডিত মনে করে। জানতে চায়না। এক লক্ষ চব্বিশ হাজার নবী-রাসূলগণ উনারা মোরাকাবার মাধ্যমে কালবের জিকিরের মাধ্যমে আল্লাহ্র পরিচয় লাভ করেছেন। আল্লাহ্ বলেন- ‘যার ক্বালবে আমার জিকির জারি নাই সে প্রকাশ্য বিপথগামী।’ আল্লাহ্ যাকে বিপথগামী বলে, গোমরাহ্ বলে, সারা দুনিয়ার মানুষ চিৎকার করলে কি সে ঈমানদার হবে?

এ সময় তিনি উললেখ করেন, আমার মনে আছে ইসলামিক ফাউনডেশনের একজন ডিরেক্টর হাফেয মইনুল ইসলাম এসেছিলেন আমার কাছে। এসে বলেন যে, আপনি বলেন আল্লাহ্ আকার। আল্লাহ্ আকার তো কোথাও নাই। আমি বললাম, নিরাকার কোথায় আছে? তখন উনি কোরআনের একটা আয়াত বললেন যার অর্থ হলো, ‘আল্লাহর মত আর কিছু নাই।’ তখন আমি বললাম, আপনার এই আয়াতই তো প্রমাণ করে আল্লাহর আকার আছে। আমি একথা বলেছি উনি বুঝতে পারছেন না। ‘আল্লাহর মত আর কিছু নাই’এর অর্থ কি আল্লাহ্ নিরাকার? আমি এরপরে বললাম, হাফেজ মইনুল ইসলামের মত আরেকজন হাফেজ মইনুল ইসলাম জগতে নেই। এর অর্থ মইনুল ইসলাম কি নিরাকার? তিনি আমার কথা শুনে চুপ হয়ে গেলেন। তিনি বললেন, এটা কি বললেন? তার এখানে ভুলটা ভাঙল। আল্লাহ সম্বন্ধে আমরা না জানার কারণে এই ধরনের কথা বলছি। জন্মের পরের থেকেই শুনে আসছি আল্লাহ্ নিরাকার। কিন্তু নিরাকারটা কেমন সে সম্বন্ধে আমাদের ধারণা নেই। নিরাকার বলতে বুঝায় আল্লাহর কোন অস্তিত্বই নেই। আল্লাহর অস্তিত্ব অস্বীকারকারী রাতো আর মুসলমান থাকে না, নাস্তিক হয়ে যায়। সত্য নয় কি?
দেওয়ানবাগী বলেন, বান্দা প্রকাশ্যে অথবা গোপনে যা কিছু বলে আল্লাহ্ শোনেন। আল্লাহর কান আছে। কান কি নিরাকার? তবে আল্লাহর কান মোবারক নূরের। মানুষের মত রক্ত মাংসের কান নয়। আল্লাহর কান, আল্লাহর চোখ, আল্লাহ্র চেহারা মোবারক নূরের। আমরা এর উপরে ‘তাফসিরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগীতে’ কোরআনের আয়াত দিয়ে এবং হাদিস দিয়ে বিস্তারিত লিখেছি আল্লাহর বিভিন্ন অংগ-প্রত্যঙ্গের কথা। আপনারা পড়ে দেখবেন, তখন বুঝতে পারবেন ,আল্লাহ্ আকার না নিরাকার? আপনার মালিক আল্লাহ্। মানে প্রতিনিধি যদি মালিককে না চিনে কাকে চিনবে? সমাজে একটা প্রচলিত কথা আছে, আল্লাহকে দেখা যায়না। দেখলে ঈমান চলে যাবে। তাহলে শয়তানকে দেখলে কি ঈমান থাকবে? আল্লাহ্কে দেখলে যদি ঈমান চলে যায় তাহলে শয়তানকে দেখলে কি ঈমানদার হবে? সুতরাং এই ভুলের মধ্যে আর কত কাল কাটাবো? এই ভুল কি আমাদের দূর হবেনা? জ্ঞান-বিজ্ঞানে আমরা পন্ডিত হয়েছি। উচ্চ জ্ঞানী হয়েছি, বড় বড় মাওলানা হয়েছি। কিন্তু আল্লাহ্ সম্বন্ধে কোন ধারণাই নেই। ঐ মক্তবে কায়দা ছিপারা কোরআন শরীফ পড়তে যতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছে টাইটেল পাশ করার পরে আকিদাটা কিন্তু ঐ মক্তবেরই আছে। বাল্যকালে মক্তবে যে বিশ্বাসটা করেছে, বিশ্বাসের দৌড় ঐটুকুই। বিশ্বাস আর এগোলোনা। যখন মানুষকে মৃত্যুর সময় প্রশ্ন করবে, মার রাব্বুকা- তোমার প্রভু কে? কি জবাব দেবেন? আল্লাহ্কে যদি না চিনি বা না চেনেন তখন তো কোন জবাব দিতে পারবেন না। জবাব দেয়া সম্ভব হবে? সুতরাং দুনিয়াতে দেখলে গুনাহ হবেনা, দুনিয়াতে না দেখলে গুনাহ হবে। দুনিয়াতে থেকেই আল্লাহর পরিচয় লাভ করতে হবে। মানুষ আল্লাহর প্রতিনিধি। প্রতিনিধি তার মালিককে চিনে না। সে প্রতিনিধিত্ব করবে কার? কিভাবে পারবে? একটা নিকৃষ্ট কুকুর তার মনিবকে চিনে, মনিবের পরিবার পরিজনকে চিনে। মানুষের কি কুকুরের মত দামও নাই? কুকুর মনিবকে চিনে। মানুষ মনিবকে চিনবে না। কেমন মানুষ আমরা?  আল্লাহ্কে চেনার জন্য হযরত আদম (আঃ) থেকে শুরু করে বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পর্যন্ত একলক্ষ চব্বিশ হাজার নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন। সকল নবী-রাসূলরা বলেছেন, আল্লাহ্ এক। একলাখ চব্বিশ হাজার নবী রাসূল সাক্ষী দিলেন আল্লাহ্ এক। আল্লাহর পরিচয় জাতির কাছে তুলে ধরলেন। তারপরেও আমরা বলি আল্লাহ নিরাকার। এর কারণ হচ্ছে দুইশ বৎসর ব্রিটিশদের গোলামী করে তারা যেভাবে আমাদের ধর্মটা শিখিয়েছে আমরা সেইভাবেই শিখেছি। এইতো আমাদের উল্টা-পাল্টা শিক্ষা।dewanbagh-sarif-radioswadesh-net-swadeshnews24-com

তিনি উললেখ করেন, জিকির সমন্ধে কোথাও কি বলে? ক্বালবে জ্বিকির আছে? জিকিরের শিক্ষা কি কোথাও আছে? তা ক্বালবে জিকির যদি না থাকে সে তো বিপদগামী। যে বিপদগামী সে পন্ডিত হলে কি হবে? সে তো আর আল্লাহর পরিচয় পাবেনা। আল্লাহর পরিচয় পেতে হলে ক্বালবের জিকির শর্ত। ক্বালবে জিকির জারি করতে হবে। বিপদগামীতা দূর করতে হলে ক্বালবে জিকির চালু করতে হবে। তখনই সে ঈমানদার, সে মুমিন। মুমেন ছাড়া আল্লাহর পরিচয় পাবে না।

মুমেনরাই আল্লাহর পরিচয় জানে। নবী রাসূলগণ আল্লাহর পরিচয় জানে। আল্লাহ সমন্ধে মানুষকে শিক্ষা দেন। উনারা লেখাপড়া শিক্ষা করে নবী রাসূল হননি। উনারা সাধনা করে হয়েছেন। আমাদের রাসূল (সঃ)-ই হেরা গুহায় পনের বছর ধ্যান বা মোরাকাবা করেছেন। আররহমানু আল্লামাল কোরআন- দয়াময় আল্লাহ রাসূলকে কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন। মোরাকাবার মাধ্যমে আল্লাহ দয়া করে তাকে কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন। আজকে যারা মানে বড় বড় পন্ডিত ধর্মের ব্যাপারে, তারা কি দুই একদিন মোরাকাবা করেছে? মোরাকাবা না করে আল্লাহকে পাবে কিভাবে? কিভাবে নায়েবে রাসূল হবে? রাসূল (সঃ) তো করেছেন পনের বছর মোরাকাবা। একাধারে পনের বছর মোরাকাবা করার পরে নিজের ভিতরে খুঁজে আল্লাহকে পেয়েছেন।

ওয়াফি আনফুছিকুম আফালা তুফছিরুন- আল্লাহ বলেন, হে মানুষ! আমি তোমাদের মাঝেই বিরাজ করি, তোমারা কি দেখ না? মানুষ তালাশ করে সাত আসমানের উপর। আল্লাহ যেখানে থাকেন সেখানে খুঁজলে আপনি আল্লাহকে পাবেন। যেখানে থাকেন না, ঐখানে খুঁজে কি কিছু পাওয়া যাবে? মহাশূন্যে কি আল্লাহর অস্তিত্ব আছে? আল্লাহতো মানুষের ভিতরে। আল্লাহ বলেন তিনি মানুষের ভিতরে। ওয়াফি আনফুছিকুম আফালা তুফছিরুন। ওয়াহুয়া মাহাকুম আইনামা কুনতম। তুমি যেখানে আমিও সেখানে। তার মানে আপনার অস্তিত্ব বলতে আল্লাহকে বুঝায়। আপনার অস্তিত্ব মানে আল্লাহর অস্তিত্ব। আপনার ভিতরেই তিনি থাকেন। আবার তিনি যখন বেরিয়ে যাবেন। আপনি আমি লাশ হয়ে যাব। এক পয়সা মূল্য থাকবে না। কোন মালিকানা থাকবেনা। মালিক না থাকলে মালিকানা আসবে কোথা থেকে? সুতরাং আমাদের ভিতরেই আল্লাহ থাকেন। আল্লাহকে ভিতরে খুঁজে বের করতে হবে। বের করলে বুঝবেন।

আল্লাহ বলেন, জগৎ সৃষ্টির আগে আল্লাহর আরশ ছিল পানির উপরে।

তিনি আরো বলেন, মানুষ সৃষ্টির পর আল্লাহর আরশ হয়েছে মানুষের কালবে। কুলুবুল মু’মিনিনা আরশুল্লাহ- মানুষের ক্বালবে আল্লাহর আরশ। সুতরাং এমন মানুষ নেই যার ভিতরে আল্লাহ নেই। সকল মানুষের ভিতরেই আল্লাহ আছেন। একটা উদাহরন দিলে জিনিসটা পরিস্কার হবে। যেমন ম্যাচের কাঠির মধ্যে বারুদ পৃষ্ঠের মধ্যে বারুদ। উভয় বারুদের ভিতরে আগুন আছে। ম্যাচ পকেটে রেখে আগুনের ওয়াজিফা করলে আগুন জ্বলবে না। সোয়া লক্ষবার ওয়াজিফা করেন আগুন আগুন, কোন লাভ নাই। ম্যাচটাকে পকেট থেকে বের করুন। খুলে কাঠিটা বের করেন। পৃষ্ঠের বারুদের সাথে ঘষা দিন। ফুস করে আগুন বের হয়ে আসবে। ঐ রকম আপনার ক্বালবটা ম্যাচ বাতির তুল্য, আর অলী-আল্লাহদের শাহাদাৎ আঙ্গুল কাঠির বারুদ তুল্য। আপনি যখন কোন অলী-আল্লাহর কাছে যাবেন উনি যখন শাহাদাৎ আঙ্গুল দিয়ে ক্বালবে স্পর্শ করবে সাথে সাথে টের পাবেন। যদি ঐ অলী-আল্লাহ ক্ষমতা সম্পন্ন হন, আপনার ক্বালব আল্লাহর জিকির করবে। তিনি আপনার ক্বালবে স্পর্শ করলেই যখন ভিতরে জিকির হবে তখন আপনি বুঝবেন আল্লাহ কোথায় থাকেন। তখন দেখবেন ম্যাচ বাতি আর ম্যাচ বাতি নেই। এতে আগুন হয়ে গেছে। সকল নবী আল্লাহকে পেয়েছেন নিজের ভিতরে। সকল অলী-আল্লাহরা আল্লাহকে নিজের ভিতরে খুঁজে পেয়েছেন। আমরা ব্যতিক্রম খুঁজে আল্লাহকে পাব না। কোন লাভ নাই। পান্ডিত্ব্য শিখতে পারবেন, কিন্তু কোন লাভ নেই।
দেওয়ানবাগী বলেন, আল্লাহকে পেতে হলে আল্লাহওয়ালা ব্যক্তির কাছে যেতে হয়। তার কাছ থেকে ঐ কাঠির বারুদ সংগ্রহ করতে হবে। পৃষ্ঠের বারুদের সাথে ঘর্ষন করাতে হবে। তাহলে ভিতরে আল্লাহর নূর জ্বলে উঠবে। মানুষ আল্লাহর প্রতিনিধি। আল্লাহ হলেন মূল সত্ত্বা। প্রতিনিধি হল মানুষ। আল্লাহর সত্ত্বাকে ধারণকারী। আল্লাহর সত্ত্বাকে মানুষ ধারণ করেছে। আদম (আঃ) আল্লাহকে ধারণ করার পরেই ফেরেশতাদের নির্দেশ করেছিলেন, ‘তোমরা আদমকে সেজদা কর।’ ফেরেশতারা যখন আদম (আঃ)-কে সেজদা করল তখন আল্লাহ কোথায় ছিলেন? যদি বলেন, বাহিরে ছিলেন তাহলে সকল ফেরেশতারা শিরিক করেছে। কারণ আল্লাহকে রেখে আদমকে সেজদা করল। এটা শিরিক না? সুতরাং আল্লাহ যখন আদমকে সেজদা করার নির্দেশ দিলেন তখন আল্লাহ নিজেই আদমের ভিতরে প্রবেশ করছেন। এই যে ভিতরে ঢুকেছে আর কেয়ামত পর্যন্ত বের হবেন না। যত মানুষ আছে সবার ভিতরে যথাক্রমে আল্লাহ থাকেন। আর আল্লাহ বের হয়ে গেলে কয়েক ঘন্টার ভিতরে মানুষের পঁচন ধরে যায়। ‘নাফাকতু ফিহি মিন রূহি’- এটা কোরআনের আয়াত। ‘নাফাকতু ফিহি মিন রুহি’- আমার রূহ থেকে রূহ তোমার ভিতরে ফুঁকে দিলাম। আল্লাহ নিজের রূহ যখন আদমের ভিতরে ফুঁকে দিলেন তখনইতো আদম সম্মানিত হয়েছে। সুতরাং আল্লাহ আমাদের ভিতরে। ভিতরেই খুঁজতে হবে। ভিতরে জানার বিদ্যা শিক্ষা করেন। যদি ভিতরে আল্লাহর পরিচয় পান তখন আপনি আল্লাহওয়ালা। আপনি মহাজ্ঞানি। বড় বড় পন্ডিত, জ্ঞানী তারা মৃত্যুর পরে কিছু করার আছে? কিন্তু আল্লাহ তো আর মরেন না। একজনের ভিতর থেকে বের হয়েছেন আর লক্ষ মানুষের ভিতরে আছেন। এমন মানুষ নেই যার ভিতরে আল্লাহ নেই। এই কারনেই মানুষকে ভালবাসতে বলেছে। মানুষকে কষ্ট দিতে নিষেধ করেছে। মানুষকে কষ্ট দিলে আল্লাহ কষ্ট পান। মানুষকে কষ্ট দিতে নেই। মানুষকে অত্যাচার করতে নাই। এতে আল্লাহ অত্যাচারিত হন। সুতরাং মানুষকে ভালবাসুন এবং আল্লাহর চরিত্রটা লাভ করেন। আল্লাহর চরিত্র লাভ করলে আপনারা মহামানব হবেন। যত নবী রাসূল আওলিয়ায়ে কেরাম জগতে এসেছেন উনারা ছিলেন মহামানব।সাগরের চেয়ে বড় সাগর যেটা সেটাকে বলে মহাসাগর,তেমনি মহামানব। নদীর চেয়ে যেটা বড় মহানদী। বিদ্যালয়ের চেয়ে যেটা বড় বিশ্ববিদ্যালয়। সুতরাং একটা মানুষ যখন সাধনা করতে করতে আল্লাহর সাথে মিশে একাকার হয়ে যায় তখন সে মহামানব হয়ে যায়। কারণ সে আল্লাহকে পেয়েছে। আল্লাহকে লাভ করার কারনে সে মহামানব। আমাদের এই ভুলটা ভাঙ্গতে হবে যে, আল্লাহ নিরাকার নয়। আল্লাহর আকার আছে। যারা ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ পড়েননি তারা নিয়ে পড়ে দেখেন আল্লাহর আকারের সবগুলো দলিল দেয়া আছে।dds-5

তিনি বলেন,  হযরত রাসূল (সঃ) সমন্ধে আমাদের ধারনা রাসূল (সঃ) গরিব ছিলেন। না খেয়ে পেটে পাথর বেঁধেছেন। আচ্ছা বলেন, পেটে পাথর বাঁধলে কি ক্ষুধা মিটে? না আরও কষ্ট হবে? দাঁড়াতেই পারবেনা পাথর বাঁধলে। বলে রাসূল গরিব ছিলেন তাই পেটে পাথর বাধছে। হযরত রাসূল (সঃ) লালিত-পালিত হয়েছেন দাদার বাড়িতে । এরপর রাসূল (সঃ) যখন বিবাহ করলেন মা খাদিজা (রাঃ)-কে। মা খাদিজা (রাঃ)-ই তো প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন রাসূল (সাঃ)-কে বিবাহ করতে। যে আরবের সেরা ধনী রমনি সে কি একটা গরিবের কাছে, না খেয়ে পেটে পাথর বাঁধছে তার কাছে গেছে বিবাহের প্রস্তাব পাঠাতে? হযরত রাসূল (সঃ)-এর দাদা ছিলেন মক্কার বাদশা। হযরত রাসূল (সঃ) আবার মদিনার বাদশা। বাদশা কি সত্তর তালি জামা পরে? এই কথাটা ভুল নয় কি? এই ধরণের অপপ্রচার হয়েছে দুইশত বছর ব্রিটিশদের গোলামীর কারণে। আমরা দুইশত বছর গোলামী করেছি বিজাতীদের আর এই সুবাদে তারা ইচ্ছামত বদনাম যেভাবে করার করেছে। হযরত রাসূল বিদায় হজ্বে একশত উট কোরবানী করেছিলেন। যে লোকটা একশত উট কোরবানী করে সে কি গরিব হয়? একটা জামা বানিয়েছিলেন সাইত্রিশটা উট মজুরি দিয়ে। সাইত্রিশটা উটের দাম কত? আমাদের দেশেতো ছয় লাখ, সাত লাখ একটা উটের দাম। সাইত্রিশটা উট বিক্রী করে একটা জামা বানিয়েছিলেন। এটাতো ভিক্ষা করে বানায়নি। যার সাইত্রিশটা উট জামা বানাতে লেগেছে তাঁর সম্পদ কি পরিমান ছিল? কোন হিসাব আছে? মা খাদিজাতুল কুবরার সম্পত্তি রাসূল (সঃ) কে দান করে দিয়েছিলেন বিয়ের পরে। সবার সামনে। দান করে দিয়ে উনি বলছিলেন, এখন থেকে আমি আপনার দাসী হিসাবে কাজ করব। আপনি আমার রাসূল। আমরা সেই রাসূলকে বলি গরীব ছিলেন। সত্তর তালিওয়ালা জামা পড়েছেন। আমাদের বাংলাদেশে যে সবচেয়ে গরীব, কোন সময় কি কাউকে সত্তর তালি জামা পড়তে দেখেছেন? কোন দেশে দেখছেন সত্তর তালি জামা পড়তে। তাহলে এটা অপপ্রচার, মিথ্যাচার, ধর্মবিরোধী কথা। আমাদের বিপক্ষে প্রপাগান্ডা করে লেখে। যা লেখে তা কি সত্য? তা কিছু কি আমাদের মাঝে আছে? কিন্তু বলছে তো! ফেইসবুকে লিখছে তো। সুতরাং এগুলো শত্রুরা লেখে। এগুলো মিথ্যাচার। এর বাস্তব কোন প্রমান আছে?

রাসূল (সঃ) ছিলেন ধনীদের ধনী অর্থাৎ বাদশার বাদশা উনি গরীব ছিলেন না। আর রাসূল (সঃ) সাতাইশটা যুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধ করেন নাই, যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল উনার উপরে। উনি যখন মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেছেন হিজরত করার পরে মক্কাবাসী মদিনায় গিয়েছিল রাসূল (সঃ)-কে মেরে ফেলতে। বদরের যুদ্ধে যেটা হয়েছে, বদর নামক প্রান্তরে তারা গিয়ে জড় হয়েছে মদিনায় আক্রমন করবে তখন আল্লাহর হুকুম হয়েছে। এই প্রথম যুদ্ধের হুকুম। আল্লাহ নির্দেশ করছেন তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করো। এর আগে কখনো যুদ্ধের হুকুম ছিলো না। বদরের যুদ্ধে নির্দেশ করেছে, জিহাদ করো। এর পরে আবার উহুদের যুদ্ধ। পরপর দুটা যুদ্ধ হয়েছে। এ যুদ্ধে রাসুল (সঃ) সাহাবাদের সাথে নিয়ে মোকাবেলা করেছে। তাহলে সাতাইশটা যুদ্ধ করেছেন রাসুল (সঃ)-এর জীবদ্দশায়। মানে বিভিন্ন গোত্রের বিরুদ্ধে কাফেরদের বিরুদ্ধে সাতাইশটা যুদ্ধের নেত্রীত্ব উনি দিয়েছেন। আর যুদ্ধের মধ্যে বিজয় হলে কোরানে আসছে যুদ্ধের গণিমতের মাল পাঁচ ভাগ হবে। এক ভাগ রাসুলের আর চার ভাগ অন্য ভাবে । ইরাকের সাথে যখন আমেরিকার যুদ্ধ লেগে ছিল। তখন আমেরিকা সারা বিশ্বে ভিক্ষা করা শুরু করেছে যুদ্ধ চলা কালে। রাসুল (সঃ) কারো কাছে তো ভিক্ষা করেননি। নিজের সম্পদ দিয়ে মোকাবেলা করেছেন। রাসুল ধনী ছিলেন না গরীব ছিলেন? এটা আমাদের জানতে হবে।

তিনি অারো বলেন, এক শ্রেণীর ধারণা রাসুল (সঃ) এর পিতা-মাতা মুসলমান ছিলেন না। তাদের জন্য দোয়া করা যাবে না এবং তারা দোয়া করেও না। আমরা রাসূল (সঃ)-এর সম্মানিত বাবা ও মায়ের জন্য দোয়া করি। অথচ এই শ্রেনীটা রাসুল (সঃ)-এর বাবা মাকে মুসলমান মনে করে না। কিন্তু রাসুল (সঃ) বলেছেন, ‘আমি দুই কুরবানীকৃত পিতার সন্তান’ এবং আরও বলছেন যে, ‘এমন কোন যুগ নেই যে যুগে আমি মুমিন পরিবার ছাড়া জন্ম নিয়েছি।’ উনি যে সিলসিলায়ই আসছেন উনার সিলসিলায় কেউ জাহান্নামী হবে এমন লোক নেই। তাহলে পরে যত পিতার বংশ হয়ে আসছেন সব জান্নাতি এবং মুমিন।dewanbagh-sarif-radioswadesh-net-swadeshnews24-com-6

রাসুল (সঃ) এর পিতা-মাতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-এর ধর্মের অনুসারী ছিলেন। আমাদের কোরআনে আছে- ‘ইব্রাহিম (আঃ) মুসলিম জাতির আদি পিতা।’ তাহলে রাসুল (সঃ)-এর পিতা-মাতা ইব্রাহিম (আঃ)-এর অনুসারী ছিলেন। মুসলমান ছিলেন। না জেনেই একদম মুখস্থ কথা মুসলমান ছিলেন না। আমরা রাসুল (সঃ)-কে বিশ্বাস করলে ঈমানদার হবো। সত্য নয় কি? হযরত রাসূল (সঃ)-এর নূর উনার পিতার পৃষ্ঠে ছিল? এ নূর যিনি ধারন করে রেখেছিলেন উনি মোমিনের বাকি ছিলেন? রাসুল (সঃ) যখন আবার মায়ের উদরে আসলেন তখন যে মা দশ মাস দশ দিন উনাকে ধারণ রাখছে উনারা কি মোমেন ছিলেন না? সুতরাং এগুলো ভুল, না জেনে বলবেন না উল্টা-পাল্টা। বললে তো গুনাহ হয়। আগে জানতে হবে উনাদের সমন্ধে। রাসুল গরীব ছিলেন না। গরীব মানুষ কি একশত উট কোরবানী করতে পারে? রাসুল (সঃ)-এর নিজের উটের খামার ছিল এবং তাতে প্রচুর উট ছিলো।

দেওয়ানবাগী বলেন, এই যে দুইটা ভুল। আল্লাহর উপরে আমাদের আস্থা নেই। আল্লাহকে বিশ্বাস করি কিন্তু নিরাকার। নিরাকারকে কি বিশ্বাস করলাম? নিরাকার হলে তো আপনাকে সাহায্য করতে পারে না। আকার হলে তো আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। সুতরাং মোক্তবের পড়াটা আমাদের ঠিক ছিলো না। এ পড়ার পরে আমাদের বিশ্বাসটা নষ্ট হয়ে গেছে। কারণ উপযুক্ত শিক্ষকের কাছে পড়লে যে শিক্ষক আল্লাহর পরিচয় জানে, আল্লাহকে চিনে এমন গুরুর কাছে গেলে আল্লাহর পরিচয় সঠিক পাওয়া যেত। যে আল্লাহকে পায়নি সে আল্লাহর পরিচয় দিবে কি করে?  শুধু কেবল মোহাম্মদী ইসলামকে রক্ষা করার জন্য টিকিয়ে রাখার জন্য কারবালায় ১০ই মহররম ইমাম হোসেন শহীদ হয়েছিলেন স্বপরিবারে। উনি যদি এজিদের বশ্যতা স্বীকার করতেন, আত্মসমর্পন করতেন তাহলে তো ইসলাম ঐখানে শেষ ছিল। এখানে উনাকে শহীদ করেছে। উনার মাথা মোবারক মিশরে নিয়ে ঐখানে রওজায় কবরস্থ করেছে। করার পরে ঐ কবর হতে মা ফাতেমা (রাঃ) নামে ফাতেমাতুজ্জোহরা, জহুরা থেকে আজাহার ঐ মিশরের ‘আল আজাহার বিশ্ববিদ্যালয়’ সেখান থেকে হয়েছে। ফাতেমী বংশটা পঞ্চাশ বছর ক্ষমতায় ছিল। আমরা তো আগে জানতাম মিশর ফেরাউনের দেশ। মিশরের মুসলমানরা খারাপ। আমার ছেলেরা যখন মিশরে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে তখন তাদের কাছে শুনলাম মিশরের ঘটনা কি!

dewanbagh-sarif-radioswadesh-net-swadeshnews24-com-3তিনি বলেন,”শরিয়ত, তরিকত, হারিকত, মারেফত এ চারটা মিলে হলো ইসলাম”। রাসুল (সঃ) ফরমান, শরিয়ত আমার বাক্য, তরিকত আমার কাজ, হাকিকত আমার অবস্থান এবং মারেফত আমার নিগূঢ় রহস্য। সুতরাং এ চারটা ছাড়া ধর্ম পূর্ণ হবে না। একটা শর্ত দিয়ে ধর্ম পুরন হবে না। এই চারটা নিয়া পূর্ণ ধর্ম। এই চারটার অভাব যদি থাকে থাকলে সে পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারবে না। সুতরাং আমাদেরকে এই চারটা বিদ্যা শিখতে হবে। শুধু ডাক্তার আর প্রফেসার হলে লাভ নেই। এটা আপনার দুনিয়াদারি। কিন্তু দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন আপনাকে আল্লাহ পরিচয় লাভ করার জন্য দেখেন একটা ফকিরের বেশে রাস্তা ঘাটে চলাফেরা করে। মানুষে নাক সিটকায়। মৃত্যুর পর দেখা যায় তার মাজার হয়ে গেছে। মানুষ ঐখানে গিয়ে কাঁদে। আছে না এমন ঘটনা? এমনে দেখেন ফকির কিন্তু সে সাধনা করে নিজের মাঝে আল্লাহকে হাজির করেছেন। সে আল্লাহর পরিচয় পেয়েছেন। এ কারণে মানুষ তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর কবরের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করে। হযরত শাহাজালাল (রহঃ) যখন সিলেটে এসেছিলেন তখনতো সবাই তাঁর শক্র। শক্র ছিলো না? তাকে যুদ্ধ করতে হয়েছে না? এখন আমাদের দেশের রাজা বাদশা হলেও দৌড়ায় ঐ শাহাজালাল (রহঃ) এর মাজারে। ঐখান থেকে দোয়া নিয়ে ইলেকশনে দাঁড়ায়। সত্য না? এখন রাজা বাদশারা তাঁর কদর বুঝলো। অথচ থাকতে জনগণ বুঝলো না। তাঁকে মেরে ফেলতে চেষ্টা করেছে। সুতরাং এই বাংলা ভারত উপ মহাদেশ অলী-আল্লাহদের দ্বারা মুসলমান। অলী-আল্লাহদের মাজার জায়গায় জায়গায় পাওয়া যায়। এখনো আছে। খান জাহান আলী (রহঃ) উনিতো কুমিরের পিঠে সওয়ার হয়ে এসেছিলেন বাগেরহাটে। এরকম অনেক অলী-আল্লাহ যারা এদেশে ধর্ম প্রচারের জন্য এসেছিলেন। এঁদের দ্বারা আমাদের পূর্বপুরুষ মুসলমান হয়েছেন। তাদের থেকে  আমরা মুসলমান। সুতরাং আমরা অল্লী-আল্লাহদের মত ও পথের বিপক্ষে যেতে পারবো না।

dewanbagh-sarif-radioswadesh-net-swadeshnews24-com-2পরিশেষে তিনি  বলেন, মহববতের সাথে নিজেরা নিয়মিত তরিকার আমল করেন। নিয়মিত সাধনা করেন। এই দুনিয়াতেই আল্লাহকে পেতে হবে। আল্লাহকে পেয়ে যেতে হবে। না হয় আমাদের উপায় থাকবে না। আর মনে রাখবেন, আল্লাহ মানুষের ভিতরে থাকে। আপনার ভিতরেও আল্লাহ আছে। আপনি যদি ম্যাচ বাতির কাঠি আর বারুদ ঘষা দিয়ে আগুন জ্বলাতে পারেন তো আগুন পাবেন। জ্বালাতে না পারেন তো আগুন পাবেন না। সুতরাং ক্বালবে ঘর্ষন দিয়ে ঐ নূরের মধ্যে নূরের আলো দিয়ে ঘর্ষন দিলে আগুন হয়। তখনই আপনি মুমিন।

আখেরী মুনাজাতের মাধমে পবিত্র আশুরা ও দেওয়ানবাগ শরীফের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়ৌজিত আশেকে রাসূল (সঃ) সম্মেলনের পরিসমাপ্ত ঘটে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 SwadeshNews24
Site Customized By NewsTech.Com