সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বরেই হতে পারে জেলা পরিষদ নির্বাচন। এরই মধ্যে প্রকাশ হয়েছে জেলা পরিষদ আইন ২০১৬ এর গেজেট। আচরণবিধি নিয়ে কাজও শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছে কমিশন। এদিকে, একটু দেরিতে হলেও স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ স্তরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এতে জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ থাকলে আরো গ্রহণযোগ্য হবে বলে মত তাদের।
স্বাধীনতার পেড়িয়ে গেলেও এখনো গণতন্ত্রের ছোঁয়া লাগেনি জেলা পরিষদে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিটি করপোরেশন স্থানীয় সরকারের সর্বস্তরে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের বিধান থাকলেও জেলা পরিষদ পরিচালনার দায়িত্ব ছিল প্রশাসকর হাতে।
অবশেষে জেলা পরিষদ নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে শেষ সীমানা নির্ধারণের কাজ। চূড়ান্ত হয়েছে আইন আইন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরেই হতে যাচ্ছে এ নির্বাচন।কমিশনের সদস্যরা জানান, আইনের চূড়ান্ত কপি পাওয়া সম্ভব হয়েছে,এই সপ্তাহের মধ্যে বিধিমালা নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত করে ফেলবে।তারা আরো জানান, সরকার গেজেটের মাধ্যমে তারিখ ঘোষণা করলে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করবেন তারা।
যদিও এ নির্বাচনে থাকছে না জনগণের সরাসরি অংশ গ্রহণ। স্থানীয় মেয়র কাউন্সিলাররা ভোটের মাধ্যমে গঠন করবেন জেলা পরিষদ। স্থানীয় সরকারের অন্যান্য স্তরে দলীয় প্রতিকে নির্বাচন হলেও এক্ষেত্রে হচ্ছে নির্দলীয়। নির্বাচন কমিশনার জানান, যারা জনগণের ভোটে স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচিত হয়েছেন তারায় এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন।
এদিকে দীর্ঘদিন পর জেলা পর্যায়ে গণতন্ত্রের এই যাত্রাকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে সাধারণ ভোটারদের অংশগ্রহণমূলক করার তাগিদ দিচ্ছেন তারা। তারা জানান, ইউনিয়ন উপজেলা ও জেলা এই তিন ব্যবস্থার সুসম্পর্ক তৈরি হলে জনগণের উপকার হবে।
নতুন এ প্রক্রিয়ায় জেলা পরিষদ কাঠামো শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চয় হবে বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ।