আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথির মাত্র এক-তৃতীয়াংশ যোগ দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে। আন্তর্জাতিকভাবে আওয়ামী লীগ বিরোধী প্রচারণা আর গুলশান হামলাসহ কিছু জঙ্গি কার্যক্রম বিদেশিদের আসতে নিরুৎসাহিত করছে বলে মনে করছেন দলের নেতারা।
যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, পাকিস্তানের কোনো প্রতিনিধি এ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পরিকল্পনা ছিল, আওয়ামীলীগের এবারের সম্মেলনে থাকবে সর্বোচ্চ সংখ্যক বিদেশি অতিথি। আর তাই আমন্ত্রন জানানো হয় বন্ধুপ্রতীম ও প্রভাবশালী ২৭ রাষ্ট্রের প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের। কিন্তু নানা কারণে সবার সাড়া মেলেনি। আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মোটে নয় দেশের প্রতিনিধি।
আওয়ামীলীগ নেতারা মনে করছেন, বিদেশি অতিথির সংখ্যা ১৫ পর্যন্ত হতে পারে। ভারতের কংগ্রেস ও ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রতিনিধির আসার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আসাম, ত্রিপুরা রাজ্যের প্রতিনিধিও থাকছে সাথে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তান বাদে নেপাল, ভূটান, শ্রীলংকার প্রতিনিধিও আসার নিশ্চয়তা মিলেছে। আসছেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির স্থানীয় লেবারপার্টির একজন করে প্রতিনিধি ।
সৌদী আরবের মজলিস-এ-সুরার একজন সদস্যও সম্মেলনে আসার কথা। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও আন্তরিক আতিথেয়তায় জন্য এদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে রাজধানীর একটি পাঁচতারা হোটেলে।
অভ্যর্থনা উপ পরিষদের সদস্য সচিব ডা. দিপুমনি জানান, তারা এখানে আসবেন ভাল অভিজ্ঞতা নিয়ে যাবেন। তাঁদের সাথে সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। শুধু আওয়ামী লীগ নয় বাংলাদেশকে দেশকে যেন আরো ভাল করে তারা জানতে পারেন।
জাঁকজমকপূর্ণ এ সম্মেলনে আশানুরূপ বিদেশী অতিথি না আসার কারণও জানালেন আয়োজকরা।।
অভ্যর্থনা উপ পরিষদের সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ জানান, আমন্ত্রিত বিদেশিদের কেউ কেউ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন সম্মেলনে। পাশাপশি প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিশেষ সাক্ষাত ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির জায়গা আর ঐতিহাসিক স্থানে তাদের বেড়ানোর ব্যবস্থাও রাখেছে আওয়ামী লীগ।