ইরাকে যখন ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর হাত থেকে মসুল শহর পুনর্দখল করার জন্য সরকারি বাহিনীর অভিযান চলছে, তখন আইএস যোদ্ধারা পশ্চিমাঞ্চলীয় আনবার প্রদেশের প্রত্যন্ত শহর রুৎবা আক্রমণ করেছে।
শহরটির মেয়র বলেছেন, জিহাদিরা শহরের ভেতরে ঢুকে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে লড়াই করছে, এবং এ পর্যন্ত পাঁচটি আত্মঘাতী গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
তবে সেনা বাহিনীর স্থানীয় কমান্ডার বলছেন, এখন সেখানে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
কুর্দি যোদ্ধাদের সাথে নিয়ে ইরাকের সরকারি সৈন্যরা যখন দেশটিতে আইএসের প্রধান ঘাটি মসুল পুনর্দখলের জন্যে অভিযান অব্যাহত রেখেছে তখনই ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিরা পশ্চিমের রুৎবা শহরে আক্রমণ শুরু করল।
শহরের মেয়র বলেছেন, জঙ্গিরা তিনদিক থেকে অত্যন্ত তীব্রভাবে এই হামলা চালাতে শুরু করে।
বলা হচ্ছে, মসুলের যুদ্ধ থেকে দৃষ্টি অন্য দিকে সরাতেই আইএস এই হামলা চালিয়েছে।
সপ্তাহখানেক আগে ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিতে ট্যাঙ্ক, কামান ও ৩০ হাজার সৈন্য নিয়ে অভিযান শুরু করেছে সরকারি বাহিনী।
আন্তর্জাতিক জোটও বিমান হামলা চালিয়ে এই অভিযানে সহযোগিতা করছে। আইএসের ওপর যতোই চাপ বাড়ছে তারা ততোই আত্মঘাতী হামলাকারীদের দিয়ে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করছে।
গত শুক্রবারেই তারা কিরকুক শহরে হামলা চালায় যাতে কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়।
রুৎবা শহরের মেয়র ইমাদ মেশাল আইএস জঙ্গিদের প্রতিরোধ করতে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদীর কাছে সামরিক বাহিনীর সৈন্য পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।
ইসলামিক স্টেট ২০১৪ সালের জুন মাসে এই শহরটি দখল করে নিয়েছিল। তবে মাত্র চার মাস আগে সরকারি বাহিনী তাদেরকে সেখান থেকে হটিয়ে দিয়ে সেখানে পুনরায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।
সংবাদদাতারা বলছেন, জর্ডান সীমান্ত থেকে ইরাকের দেড়শো কিলোমিটার ভেতরে রুৎবা শহরে আইএসের এই হামলা মসুল অভিযানের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
তবে এই গ্রুপটি যে ইরাকে এখনও বড় ধরনের হুমকি সবশেষ এই আক্রমণের মধ্য দিয়ে তারা সেটাই আবারও মনে করিয়ে দিল।