‘সাব্বির (রহমান) কিছুটা অসুস্থ। এ জন্যই মোসাদ্দেককে (হোসেন সৈকত) দলে রাখা হয়েছে।’ -কথাটি বলেছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
প্রথম টেস্টের শুরু থেকেই পেটের পীড়ায় ভুগছেন সাব্বির। তা টিম ম্যানেজমেন্টকে নিজে জানিয়েছেনও। এরপরও খেলেছেন। ভালও খেলেছেন। এখন দলের সঙ্গে মঙ্গলবারই ঢাকায় ফিরেছেন সাব্বির। পেটের ব্যথা এখনও খানিকটা আছে। প্রাথমিক পরীক্ষার পর অবশ্য আশঙ্কাজনক কোন কিছু ধরা পড়েনি। তবে আবারও পরীক্ষা করা হবে। এরপরই তাকে খেলান নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ঢাকা টেস্টে যদি সত্যিই না খেলেন সাব্বির, তাহলে বাংলাদেশ দলের শক্তি খানিকটা কমে যাবে। কারণ এরমধ্যেই যে ইংল্যান্ড শিবিরে আতঙ্ক তৈরি করতে পেরেছেন।
সাব্বির শেষ পর্যন্ত খেলতে পারবেন, সেই আশাই করা হচ্ছে। তবে এরমধ্যে প্রধান কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহের যে একটি রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন সাব্বির, সেটি নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে। অভিষেক টেস্টে নিজের দ্বিতীয় ইনিংসে ও ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন সাব্বির। আর তাতেই হাতুরাসিংহের রেকর্ড ছুঁলেন। সাব্বিরই হলেন একমাত্র বাংলাদেশী যিনি অভিষেক টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করেন। হাতুরাসিংহেও তাই করেছিলেন। প্রথম শ্রীলঙ্কান হিসেবে এই কীর্তি গড়েছিলেন। ১৯৯৯ সালে অভিষেক টেস্টেই হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে হাতুরাসিংহে করেন ২৩ রান। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ও ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে তিনি খেলেন ৮১ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ড্র করে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু এবার পারেনি বাংলাদেশ। ২২ রানে হেরে যায়। জয় পাওয়ার মতো অবস্থায় থেকে আরেকটি টেস্ট হারে বাংলাদেশ। তবে সাব্বির গুরু হাতুরাসিংহের রেকর্ডে ভাগ বসান। সেই গুরু কী চাইবেন দ্বিতীয় টেস্টে সাব্বির ড্রেসিংরুমে বসে থাকুক? কোনভাবেই না। তবে যদি শেষ পর্যন্ত অসুস্থ ভাব যদি না যায়, তাহলে কিছুই করার থাকবে না। তখন সাব্বিরকে সত্যি সত্যিই ঢাকা টেস্টে দেখা যাবে না। সেই শঙ্কা এখনও আছে। –