ডিসেম্বরের মধ্যে রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ ৩২১ টি ভবন ভাঙা হবে কি না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। অধিকাংশ ভবনের দেয়ালে দেখা মেলেনি ঝুঁকিপূর্ণ লিখা সম্বলিত সাইনবোর্ড।
ঢাকায় ৪০ শতাংশের অধিক ভবন বিপদজনক হলেও মাত্র কয়েকশ’ ভবনকে চিহ্নিত করা অযৌক্তিক বলে মনে করছেন নগর পরিকল্পনাবিদদের।
রাজধানীর চকবাজারে ২০১০ সালে নির্মিত একটি ভবন। দেড় বছরের মাথায় সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক অফিস থেকে পাঠানো চিঠিতে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করায় হতভম্বিত হয় ভবনের মালিক।
এরপর রাজউকের ছাড়পত্রসহ ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয় সব কাগজ দেখে সিটি কর্পোরেশন কয়েক বছর জন্য থামে। চলতি বছরের মাঝা-মাঝিতে ৩২১ টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায় পড়া ভবনটিকে ভাঙার নির্দেশে ভোগান্তির শেষ সীমায় পৌঁছে ভবন মালিক।
তালিকায় নাম থাকলেও কোনো ধরনের নোটিশ পায়নি বলে দাবি কোনো কোনো ভবন মালিকের। কেউ কেউ ভবন ভাঙার কথা মাথায় নিলেও সমঝোতার রাস্তায় হাঁটছেন অধিকাংশরা।
বুয়েটের জরিপে রাজধানীর ৪২ শতাংশ ভবনকে বিপদজনক বলা হলেও মাত্র কয়েকশ ভবনকে চিহ্নিত করা অযৌক্তিক বলে মত নগর পরিকল্পনাবিদদের।
ডিসেম্বরের মধ্যেই ভবন ভাঙার কড়া হুশিয়ারি দেয়া হলেও এখনো সিটি কর্পোরেশন ভাবছে ভবনগুলো পুনরায় পরীক্ষা করার কথা।
মোহাম্মদপুরে জাকির হোসেন রোডের ডান পাশের ভবনটি ভেঙে চুরে ক্ষয়ে গেলেও তালিকায় পড়েছে পেছনের ভবনটি। রাজউক ও সিটি কর্পোরেশনের টানাপোড়নে দীর্ঘ ৬ বছরেও শুরু হয়নি ভবন ভাঙার কাজ।
আগামী ডিসেম্বরে বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে তা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে সংশয় নগর পরিকল্পনাবিদরা।