রাজধানীর ধানমন্ডিতে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের টয়লেটে মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে গোপনে ভিডিও ধারণের অভিযোগ করেছেন একজন নারী। শনিবার সকালের এ ঘটনা প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর এক কর্মচারীকে আটক করে পুলিশ। অভিযোগকারী নারী জানান, ইউরিন পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের জন্য সকাল ৭টার দিকে হাসপাতালের টয়লেটে যান।
এরপর কাজ শেষে বের হবার সময় তিনি ভিডিও ধারণের বিষয়টি টের পান। দ্রুত টয়লেট থেকে বের হয়ে ভিডিও ধারণকারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তিনি। অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই সেন্টারের রিসিপশনের দায়িত্ব রত একজন কর্মচারী।
অভিযোগকারী নারী বলেন, সকাল সাতটার দিকে ব্লাড ও ইউরিন টেস্টের জন্যে পপুলারে যান। যাওয়ার পরে রিসিপসনে চারজনকে দেখতে পান। তারাই নির্দিষ্ট স্থানে টেস্ট করা কথা বলেন। ব্লাড দেয়ার পরে চিকিৎসক ইউরিন নিয়ে আসতে। তাদের টয়লেটে টেস্ট সংশ্লিষ্ট কাজ করার সময় তিনি দেখেন ওয়াসরুমের নিচে কেউ একজন হাত দিয়ে ভিডিও করছে মোবাইল নিয়ে।
তিনি আরো বলেন, যখন কে ভিডিও করছে বলে চিৎকার করেন তখন ভিডিও ধারণকারী সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল নিয়ে চলে যেতে থাকেন। এসময় অভিযোগকারী তাকে চিনে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে যেয়ে ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন তিনি। এসময় ওই ব্যক্তির কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেন। “পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান অভিযোগকারী। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উল্টো অভিযুক্ত ব্যক্তির পক্ষে কথা বলা শুরু করে বলে জানান তিনি।”
অভিযোগকারী আরো বলেন, “তিনি একজন নারী তার সঙ্গে এই ধরনের ঘৃণ্য কাজ করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির যদি বিচার না হয় ওই ব্যক্তি আরো ভিডিও করবে। এর আগে না জানি কত জনের সঙ্গে এমন কাজ করছে। ওই ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তি চান অভিযোগকারী।”
এদিকে, এ ব্যাপারে ধানমন্ডি থানায় যোগাযোগ করা হলে পুলিশ কথা বলতে রাজি হয়নি।