কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে কয়েকদিনে ৭ ভারতীয় জওয়ান নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লী। শনিবারও চিকিৎসাধীন এক ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়। এর মধ্যেই পাল্টা হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের ৪টি সেনাচৌকি গুঁড়িয়ে দেয়ার দাবি করেছে বিএসএফ।
এদিকে, সীমান্তে পাকিস্তানি সেনাদের সংঘাতের পাল্টা জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অন্যদিকে, পাকিস্তানের গুপ্তচর সন্দেহে ভারতের সমাজবাদী পার্টির এক নেতার ব্যক্তিগত সহকারীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কাশ্মীর সীমান্তে পাক-ভারত গোলাগুলি বাড়তে থাকায় শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা এলাকা ছাড়তে দেখা যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের। পাক সেনাদের অব্যাহত হামলা থেকে জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়েই ভিটেবাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কথা জানালেন তারা।
শুক্রবার এক বিএসএফ সদস্যকে হত্যার পর দেহ বিকৃতি করা হয়, এমন অভিযোগের এক দিন পর পাকিস্তানের চারটি সেনা চৌকি উড়িয়ে দেবার দাবি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তবে, এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি পাকিস্তান। শনিবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, সীমান্তে পাল্টা জবাব দিচ্ছে তাদের সেনাবাহিনী।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষীরা পাকিস্তানের গুলির উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে। এ বিষয়ে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।’
এদিকে, পাকিস্তানের গুপ্তচর সন্দেহে শনিবার রাতে ভারতের সমাজবাদী পার্টির সংসদ সদস্য মুনাওয়ার সেলিমের ব্যক্তিগত সহকারী ফারহাত আখতারকে গ্রেফতার করেছে দিল্লির পুলিশ। একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় আরও ৩ জনকে। তবে, গোয়েন্দাবৃত্তিতে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাংসদ মুনাওয়ার।
এদিকে, ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ডাকা ধর্মঘটের টানা ১শ’ ১৪তম দিন অতিবাহিত হলো শনিবার। এর মধ্যেই হুরিয়াত নেতা মুহাম্মদ ইয়াসিন মালিককে শ্রীনগর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।