দিল্লীর সিংহাসনে বসবেন নরেন্দ্র মোদী, এই খবরে ঢাকায় পুলকিত বিএনপি নেতৃবৃন্দ। অঘোষিত আনন্দ মিছিল, ইশারায় শুভেচ্ছা বিনিময়, মিষ্টি বিতরনেও ধুম পড়েছিল ঢাকায়। খুশির সে রং এখন ফিকে, তবে মওকা আবারো আসছে, আমেরিকায় হিলারী জিতলে মিষ্টি বিতরনে প্রস্তুত এবারও। ফলে বাড়তে পারে মিষ্টির দাম, মিষ্টি ব্যবসায়ীরা আগাম প্রস্তুতি নিতে পারেন।
নির্বাচনী প্রচারনায় নরেন্দ্র মোদী যে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছিলেন, পুরোটাই ছিল বাংলাদেশ বিরোধী। বিজেপি’র সিনিয়র নেতারা সিলেটকে ভারতের অংশ বলেও দাবি করেছিল। এসব শুনে আনন্দে মাতোয়ারা ছিল ধর্মান্ধ রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলাম ও এদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। জামায়াত-বিএনপি’র সবচেয়ে প্রিয় তারাই যারা এই স্বাধীন বাংলাদেশের বিপক্ষে কথা বলে। মোদীর নির্বাচনী বক্তব্যে আশার আলো দেখতে পেয়েছিল, তাই বিশ্বাসে স্বপ্নের বাসর গড়েছিল বিএনপি।
কিন্তু মোদীর ক্ষমতা গ্রহনের অল্প পরেই বিশ্বাসে চির ধরে, যখন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী বক্তব্যের প্রায় ১৮০ ডিগ্রী এঙ্গেলে ঘুরে দাড়ান। বিএনপি ভেবেছিল মোদীর অভিষেকে দাওয়াত পাবেন বেগম জিয়া ও তারেক রহমান, কিন্তু না, অভিষেকের আমন্ত্রন এলো শেখ হাসিনার নামে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর পুর্বনির্ধারিত জাপান সফরের কারনে সে অনুষ্ঠানে যোগ দেন জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।
হতাশ হয়ে আপাতত ভারত প্রীতিতে ভাটা পড়েছে। সাজানো মিথ্যার স্বর্গও ভেঙ্গে পড়েছে তাসের ঘরের মতো। অমিত শাহের চিঠি, কংগ্রেসম্যানদের সই, ইসরাইলি ষড়যন্ত্র সবই ব্যর্থ। এখন মার্কিন নির্বাচনের অপেক্ষা । এখানে তুরুপের তাস ড. ইউনুস, তিনি গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকারের বিরাগভাজন। হিলারী তাঁর অকৃত্রিম বন্ধু। সরকার-ইউনুস বৈরীতার ফলে বিএনপি-ইউনুস পরম মিত্র।
মার্কিন নির্বাচনের মাত্র পাঁচ দিন বাকি। একমাত্র পরাশক্তি এই দেশটির দিকে তাকিয়ে আছে পুরো বিশ্ব। দুই প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারী ক্লিনটন। সর্বশেষ জরিপে হিলারী ৪৫% এবং ট্রাম্প ৪৬% সমর্থন প্রকাশিত হয়েছে। কে হবেন হোয়াইট হাউজের পরবর্তী বাসিন্দা তা সময়ই বলবে। তবে পছন্দের প্রেসিডেন্ট নিয়ে দেশে দেশে চলছে নানা সমীকরন। বাংলাদেশে বিএনপি’র প্রত্যাশা হিলারী জিতুক, তবেই ক্ষমতার সিড়িটি হবে তাদের। জনসমর্থনে বিএনপি’র আস্থা কখনোই ছিলনা, আজো নেই। তাই ঢাকার দামি মিষ্টির অপেক্ষায় থাকলাম।।