যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল তদন্তে কোনো অপরাধের প্রমাণ পায়নি তারা। আর নির্বাচনের মাত্র দুদিন আগে হিলারির এই দায়মুক্তিতে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দি ইনডিপেনডেন্ট। রাজনৈতিক চাপেই হিলারিকে এই দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে ট্রাম্প বলেন, ‘এফবিআইয়ের পুরো তদন্তই অস্বচ্ছ ছিল। আর মাত্র আটদিনে সাড়ে ছয় লাখ মেইল যাচাই! অসম্ভব!’
অবশ্য এফবিআইয়ের পরিচালক জেমন কোমি জবাব দিয়েছেন ট্রাম্পের কথার। রিপাবলিকান প্রার্থীর এই অভিযোগের পর সংবাদমাধ্যমের কাছে কোমি বলেন, ‘হ্যাঁ এটা সম্ভব। এফবিআইয়ের পক্ষেই সম্ভব মাত্র আটদিনে সাড়ে ছয় লাখ মেইল পর্যালোচনা করার। আর তা করে দেখিয়েছে এফবিআই।’ সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে, এর আগে গত মাসের শেষ সপ্তাহে হিলারির ‘ই-মেইল কেলেংকারির’ বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্ত শুরুর কথা জানিয়েছিল এফবিআই। তখন হিলারির মেইলে স্পর্শকাতর তথ্য পাওয়ার কথা জানালেও আটদিন পরে কোমি জানিয়েছেন, হিলারির ব্যাপারে গত জুলাইয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তের বাইরে নতুন কিছু করার সুযোগ নেই এফবিআইয়ের।
গত জুলাইয়ে কোমি জানিয়েছিলেন, হিলারি তাঁর ই-মেইল ব্যবহারের ব্যাপারে যত্নবান ছিলেন না। ব্যক্তিগত ইমেইলে তিনি সরকারি কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। গত মাসে কোমি কংগ্রেসকে লেখা চিঠিতে হিলারির বিরুদ্ধে নতুন করে ই-মেইল তদন্তের ব্যাপারে জানান। এর ফলে রিপাবলিকান দল মনোনীত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ সুবিধা পান নির্বাচনী প্রচারণায়।
রোববার কংগ্রেসকে চিঠিতে কোমি বলেন, ‘হিলারি ক্লিনটন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকা অবস্থায় আমরা তাঁর কাছে আসা ও তাঁর কাছ থেকে যাওয়া সব যোগাযোগ নিরীক্ষা করেছি।’ এর ভিত্তিতে গত জুলাইয়ে আমরা যে উপসংহার টেনেছিলাম, সেটা থেকে আলাদা কোনো তথ্য পাইনি।’ এদিকে, উড়োজাহাজে থাকা অবস্থায় হিলারির প্রচার দল জানিয়েছে, তদন্তের ফলাফলের ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত ছিলেন। হিলারির যোগাযোগ পরিচালক জেনিফার পালমিয়েরি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা গর্বিত যে ব্যাপারটির সমাধান হয়েছে।’ এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা টুইটে বলেছেন, ‘কোমি হয়তো ব্যাপক রাজনৈতিক চাপের মুখে এ রকম কথা বলেছেন।’