প্রত্যহিক প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়ার সময় কম-বেশি আমরা সবাই সাজগোজ করি। আর বিয়ের অনুষ্ঠান কিংবা ঘরোয়া কোন পার্টি হলে তো কোন কথাই নেই। এসব অনুষ্ঠানে সবাই চায় নিজেকে একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে। অনুষ্ঠানে কেউ কেউ জমকালো ড্রেস পরলেও বেশিরভাগই শাড়ি পরতে বেশি পছন্দ করেন। তবে যে ড্রেসই পরুন না কেন, পোশাকের সঙ্গে মানানসই টিপ না পরলে যেন সাজটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তবে নারীরা সাধারণত শাড়ির সঙ্গে দুই ভ্রূর মাঝখানে টিপ পরে থাকেন। এতে দেখতেই শুধু সুন্দর লাগে না, একইসঙ্গে তা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা বলেছেন, দুই ভ্রূর মাঝে এই টিপ পরার কিছু বৈজ্ঞানিক সুবিধা রয়েছে। এবার জেনে নিন টিপ পরার সেই সুবিধাগুলো-
টিপ আমাদের শান্ত ও জাগ্রত রাখে
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ভ্রুর মাঝে টিপ পরার প্রচলন এক অর্থে ভাল। কারণ দেহের সব গুরুত্বপূর্ণ নার্ভগুলো মস্তিস্কের এই অঞ্চলে থাকে অর্থাৎ নার্ভগুলোর সংযোগস্থল এটি। তাই এখানে টিপ পরলে তা আমাদের শান্ত ও জাগ্রত রাখতে সাহায্য করে। এমনকি মেডিটেশনেও সহায়তা করে এই টিপ। মাথা ব্যথা কমে মস্তিস্কের মাথার এই টিপ বরাবর যদি আঙ্গুল দিয়ে চাপ দেওয়া যায় তাহলে অনেক সময় মাথা ব্যথা কমে যায়। কেননা শরীরের এই অংশে শিরা উপশিরাগুলি এক কেন্দ্রমুখী। ফলে এই জায়গাটিতে চাপ দিলে শিরা উপশিরাগুলি শিথিল হয়। ফলে ব্যথা কমে। এ কারণে মাথা ব্যথায় টিপ পরলে আরাম বোধ হয়।
বলিরেখা দূর করে
সব শিরা উপশিরাগুলোর কেন্দ্রস্থল হওয়ায় টিপ পরার এই অংশে চাপ দিলে আমাদের নাক, মাথা, ও মুখের রক্তসঞ্চালন বাড়ে। যা মুখের বলিরেখা দুর করতে ভূমিকা রাখে।
চোখের জন্য ভালো
চোখের শিরার ফাইবার বহনকারী শিরাগুলির কেন্দ্রস্থল হলো কপালে টিপ পরার এই স্থানটি। তাই এই স্থানে হালকা চাপ কিংবা ম্যাসাজ করলে তা চোখের জন্যও উপকারী।
মানসিক চাপ কমায়
মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এই টিপ। কারণ টিপ পরার ফলে শিরা উপশিরাগুলোতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এতে স্ট্রেস থেকে মুক্তি মিলে। ইনসোমনিয়া থেকে মুক্তি বিজ্ঞানীরা বলেছেন, টিপ পরার স্থানে প্রতিদিন কয়েক সেকেন্ডের জন্য আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে ইনসোমনিয়া থেকে মুক্তি মিলতে পারে। এতে করে রাতে ভালো ঘুমও হয়।