খুলনা ছুড়ে দেয়া ১৩৩ রানের পুজিকে এক প্রকার সাদামাটাই বানিয়ে ফেলেছিলেন মুমিনুল হক। তার ব্যাটে ভরকরে জয়ের জয়ের পথেই এগুচ্ছিলো রাজশাহী কিংস। পঞ্চম উইকেটে ড্যারেন স্যামিকে সঙ্গে নিয়ে মুমিনুল যখন জয়ের ভিত রচনা করছিলেন, ঠিক তখনই এতে বাধা হয়ে দাড়ান সফিউল ইসলাম। ৬৪ রান করা মুনিনুল হক ও ৩১ করা স্যামিকে বিদায় করে রাজশাহীকে ম্যাচে ফেরান এই পেসার। বাকী কাজটুকু সারেন অধিনায়ক মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ। শেষ ওভারে রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো সাত রান। হাতে ছিলো তিন উইকেটে। ওই ওভারেই রাজশাহীর তিন উইকেট তুলে নিয়ে খুলনা টাইটানসকে চার রানের জয় এনেদেন মাহামুদুল্লাহ। এর আগে পেসার আবুল হাসান রাজুর বিধ্বংসী বোলিংয়ে বিপিএলে দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইটানসকে ১৩৩ রানে আটকে দিয়েছে রাজশাহী কিংস। রাজু ২৮ রানে ৫ উইকেট তুলেনেন। ওপেনার আবদুল মজিদ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরানের ১৫ ও ১৪ রানের ইনিংস দিয়ে পথচলা শুরু করে খুলনা টাইটানস। রানের চাকায় বাড়তি গতি যোগ করেন সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক কেপলার ওয়েসেলসের ছেলে রিকি ওয়েসেলস। ওয়ান ডাউনে নামা রিকি ওয়েসেলস ২২ বলে একটি ছক্কা ও চারটি চারে ৩২ রান করলে শুরুর ঘাটতিটা পুষিয়ে নেয় খুলনা। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ওপর ছিল রানের চাকা সচল রাখার দায়িত্ব, তিনি অলক কাপালিকে নিয়ে দেখেশুনেই খেলে চলেন, মাঝে একটি ধাক্কা খায় খুলনা।