অভাবনীয় জয় পাওয়ার পরও স্বস্তি মিলছে না ডোনাল্ড ট্রাম্পের। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্টের হোয়াইট হাউসে যাওয়ার আগেই বিক্ষোভে নেমেছেন হাজারো মার্কিনি।
নিউইয়র্ক, শিকাগো, বার্কলেসহ বেশ কয়েকটি শহরে ছড়িয়েছে এই বিক্ষোভ। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার একটি রাজনৈতিক দল। ব্রেক্সিটের মতো কোরে তারা এর নাম দিয়েছে ক্যালেক্সিট। ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে যুক্তরাজ্য, ফিলিপাইনসহ বেশ কিছু দেশে।
নির্বাচনী প্রচারে বারবারই ওবামা কেয়ার, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি, পররাষ্ট্রনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিভিন্ন কর্মসূচি বাতিলের ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই হয়তো ওবামার চাওয়া ছিলো তার উত্তরসূরী হয়ে হোয়াইট হাউসে আসুক হিলারি ক্লিনটন। ভোটের একদিন আগেও, ডেমোক্রেট প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে নামেন ওবামা। তবে যতো অসম্ভবই হোক না কেন নির্ধিদ্বায় মেনে নেন বাস্তবতা।
অভিনন্দন জানাতে কার্পন্য করেন নি আগামী প্রেসিডেন্টকে। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানাতেও ভোলেন নি তিনি। জনমত জরিপ, গণমাধ্যমের সমর্থন, গুছানো নির্বাচনী প্রচার সবকিছুতে এগিয়ে থেকেও এভাবে হেরে যাওয়া। অবাক বিশ্ব, আর স্তম্ভিত মার্কিন ইতিহাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। কিছুটা সময় নিয়ে নিজেকে সামলে নিলেন তিনি।
পরাজয় মেনে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে হেরে যাওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে ধন্যবাদ জানান নিজের প্রচার শিবিরকে। ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নেয়া উচিৎ বলেও জানান। এদিকে, ট্রাম্পের এই জয়কে মেনে নিতে পারছেন না অনেক মার্কিনি।