গতকাল টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ১৬ বছর পূর্ণ হয়েছে। ২০০০ সালে নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের হাত ধরে টেস্টে যাত্রা করেছিল বাংলাদেশ। এখন টেস্টের দায়িত্ব মুশফিকুর রহীমের কাঁধে। এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান টেস্টে এখন সফল অধিনায়কও। বাংলাদেশের খেলা ৯৫ ম্যাচের মধ্যে ২৬ টেস্টে তার নেতৃত্বে খেলে দল জয় পেয়েছে ৫টিতে আর ড্র করেছে ৯ ম্যাচে। হার ১২ ম্যাচে। তবে ১৬ বছরের ক্রিকেটে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়টি আসে গত মাসেই ইংল্যান্ডকে প্রথম হারানোর মধ্য দিয়ে। তবে মুশফিকুর রহীম মনে করেন, ১৬ বছরে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট যে উচ্চতায় থাকার কথা ছিল সেখানে নেই। এখনও সেই কাঙ্ক্ষিত অর্জন বাংলাদেশের হাতে ধরা দেয়নি। মুশফিক বলেন, ‘১৬ বছরে পা রাখা অনেক বড় বিষয়। কিন্তু আমি মনে করি এত দিনে যে পর্যায়ে টেস্টে আমাদের খেলার মান থাকার কথা ছিল সেখানে পৌঁছাতে পারেনি। কারণ আমরা এত কম টেস্ট খেলি যে সেখানে খুব ভালো করার সুযোগ থাকে না। বিশেষ করে দেখেন মুমিনুল যে আমাদের শুধু টেস্ট ম্যাচই খেলে। ও টেস্ট খেলতে পারলো দেড় বছর পর। তাহলে কিভাবে উন্নতি হবে। তবে এখন আমাদের দলে অনেক পারফরমার এসেছে। নতুনরাও বেশ ভালো করছে। আশা করি আরও উন্নতি হবে।’
১৬ বছরে বাংলাদেশ দল টেস্টে জয় পেয়েছে ৮ বার, ড্র ১৫ বার। কিন্তু এত সব সাফল্যের ৯০ ভাগই দেশের মাটিতে। এ পর্যন্ত বিদেশের মাটিতে ৪২ টেস্টে জয় ২টি ও ড্র ৩টি ছাড়া উল্লেখ করার মতো কিছুই নেই। তাই দেশের বাইরে টেস্টের সাফল্যটাই এখন মুশফিকের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। আগামী বছর প্রায় ১০টি টেস্ট খেলা হবে দেশের বাইরে। এ নিয়ে মুশফিক বলেন, ‘এটি সত্যি যে ২০১৭ সালটা আমাদের টেস্ট ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ প্রায় ১০টার মতো ম্যাচ খেলতে হবে দেশের বাইরে। তবে আমি বিশ্বাস করি যদি আমাদের সেরাটা দিতে পারি অবশ্যই ভালো করার সুযোগ আছে। বিশেষ করে ব্যাটসম্যান ও বোলারদের বিদেশের মাটিতে চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে। আমাদের সামর্থ্য এখন প্রমাণ করতে হবে বাইরের মাটিতে।’ দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২ টেস্টেই ৪০ উইকেট নিয়েছিল বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষ করে স্পিনাররা ছিলেন সফল। কিন্তু আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরে পেস বান্ধব কন্ডিশনে কি টাইগার বোলাররা সফল হতে পারবে? মুশফিক বলেন, ‘কঠিন কিছু নয়। আমাদের দলে বেশ ভালো কয়েকজন পেস বোলার আছে। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে বিশ্বকাপে বেশ ভালো করেছে। তবে আসল চ্যালেঞ্জটা ব্যাটসম্যানদের নিতে হবে। কারণ তারা যতবড় পুঁজি দেবে বোলাররা ততো লড়াই করতে পারবে।’