প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের শেষ ওভারের ভেলকিতে তিন রানের এক শ্বাসরুদ্ধকর জয় দিয়েই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসর শুরু করে খুলনা টাইটান্স। যদিও দ্বিতীয় ম্যাচেই লজ্জার এক রেকর্ড করে দলটি। মাত্র ৪৪ রানেই গুটিয়ে গিয়ে বড় ব্যবধানে হারে রংপুর রাইডার্সের কাছে।
নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এসে আবারও এক শ্বাসরুদ্ধকর জয় তুলে নিয়েছে খুলনা। শনিবার চিটাগং ভাইকিংসকে চার রানে হারিয়েছে খুলনা টাইটান্স। আর এবারও দলটির জয়ের নায়ক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
লক্ষ্যমাত্রা ছিল মাত্র ১২৮ রানের। কিন্তু এই লক্ষ্যটাকেই চিটাগং ভাইকিংসের জন্য অনেক বড় করে তোলেন খুলনা টাইটান্সের বোলাররা। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে চিটাগং। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই কেভন কুপারের বলে ব্যক্তিগত তিন রানে সাজঘরে ফিরে যান চিটাগংয়ের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দলটি আরেক ওপেনার ডোয়াইন স্মিথকেও সাজঘরে ফেরেন স্বদেশী কুপারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে। দলীয় ৩০ রানের মাথায় ফিরে যান পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শোয়েব মালিকও।
স্কোরবোর্ডে আর তিন রান যোগ করতেই শফিউল ইসলামের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন এনামুল হক বিজয় (১৪)। ইনিংসের ১২তম ওভারে আবারও আঘাত হানেন জাতীয় দলের একসময়ের নিয়মিত এই পেসার। এবার তার শিকার জাকির হোসেন। দলীয় ৫৪ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে চিটাগং। সেখান থেকে দলকে টেন তুলতে থাকেন জহুরল ইসলাম ও আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। দুজনে মিলে গড়েন ২৪ রানের জুটি। তাদের এই জুটি ভাঙেন শফিউল। নিজের চতুর্থ শিকারে পরিণত করেন জহুরুলকে (২৫)।
জহুরুলের বিদায়ের পর চতুরাঙ্গা ডি সিলভার সঙ্গে জুটি গড়েন নবী। এই জুটি চিটাগংকে জয়েরস্বপ্নই দেখাছিল। শেষ ছয় বলে জয়ের জন্য চিটাগংয়ের প্রয়োজন থাকে ছয় রানের। বোলিংয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ব্যাটিংয়ে রিয়াদ-সিলভা জুটি। ওভারের প্রথম বল থেকে নবী সিঙ্গেল নেন। দ্বিতীয় বলেই ব্যক্তিগত ১৪ রানে সাজঘরে ফেরত যান চতুরাঙ্গা (১৯)। পরের বল থেকে আব্দুর রাজ্জাক কোনো রান নিতে পারেননি। ওভারের চতুর্থ বলে শুভাগত হোমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান রাজ্জাকও।
ওভারের শেষ দুই বলে দরকার পাঁচ রান। আর খুলনার দরকার দুই উইকেট। চতুর্থ বল থেকে রান নিতে না পারায় শেষ বলে জিততে হলে নবীকে ছক্কাই মারতে হত। কিন্তু শেষ বলে ব্যক্তিগত ৩৯ রানে অলক কাপালির হাতে ধরা পড়লে শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে চার রানে জয় পায় খুলনা। প্রথম ম্যাচের পর এই ম্যাচেও রিয়াদ শেষ ওভারে নেন তিন উইকেট।
খুলনার হয়ে এদিন শফিউল একাই নেন চার উইকেট। মাহমুদউল্লাহ নেন তিন উইকেট আর কেভন কুপারের ঝুলিতে দুই উইকেট।